স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীকে ধর্ষনের অভিযোগে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দূর্গাপুর গ্রামের হানিফ মেম্বারকে গ্রেফতার করে শনিবার বেলা ২টায় নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই ছামেদুল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলাধীন শাহ্গঞ্জ বাজার এলাকা থেকে শুক্রবার রাতা সাড়ে ৮টার দিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভরাপাড়া গ্রামের স্ব পরিত্যাক্তা ওই নারীকে ধর্ষনের অভিযোগে চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত নারীর মা বাদী হয়ে দূর্গাপুর গ্রামের হানিফ মেম্বার ও তার সহযোগী ললিতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০২০) এর ৯ (১) / ৩০ ধারা মোতাবেক কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামী ললিতা আক্তার ইতিমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনে মুক্তি পায়। কিন্তু হানিফ মেম্বার পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
পুলিশ জানায়, ২০১৪ সালে বান্দনাল গ্রামের জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হলে কিছুদিন ঘর সংসার করার পর বাবার বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হন ওই নারী। বাড়িতে আসার পর সুন্দরী ও দরিদ্র নারীর উপর নজর পরে হানিফ মেম্বারের। পরে হানিফ মেম্বার বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ওই নারীকে নিয়ে আসে একই ইউনিয়নের পারর্শ্ববর্তী মাইজকান্দি গ্রামের মৃত নূর হোসেনের বাড়িতে। নূর হোসেনের স্ত্রী ললিতার সহায়তায় হানিফ মেম্বার ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ বিকালে স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারীকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর হানিফ মেম্বার তাকে বিয়ে না করায় মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পরে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই ছামেদুল হক বলেন, এতদিন নানাবিধ চাপের মুখেই থানায় আসতে পারছিলেন না ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারী এবং তার মা। যে কারণে মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই নারীর মা বলেন, আমি আমার মেয়ের নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এদিকে শনিবার দুপুরে কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ গ্রেফতারকৃত হানিফ মেম্বারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন