আমি নারী থাকবো ঘরের কোণে
এটাই আমার সমাজ চায়
তবে কি স্বপ্ন গুলো রেখে দেবো
বন্দী করে রঙের খাঁচায়?
এই হাতে চায় হাতা খুন্তি
এই হাতে কেহ কলম নাহি চায়
স্বাপ্নিক জগতে নয় টানছে আমায়
অজ্ঞানতার অন্ধ কারায়।
কিভাবে রচিব আমি বজ্র দিয়ে
ধ্বংস পাখির প্রলয় পাখায়
আমি বড় অভাগা আকাশ কুসুম স্বপ্নগুলো
আজ আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
আমি আকাশভরা শুন্যতা বিলিয়ে দিতে চাই
আমি উঠতে চাই জীবন দানের রক্তঘোড়ায়।
কলম ছাড়া আমার জীবনের গতি নাই
খাতা কলমই আমার সঙ্গী একাকিত্বতায়।
আমি কলম দিয়ে করবো জিহাদ
কলম দিয়েই সবার হৃদয়ে স্থান চাই।
গরিব ঘরের মেয়ে বলে কি আমার
স্বপ্ন দেখার কোন অধিকার নাই।
কেন, কেন এই দু হাজার একুশেও
সমাজের মানুষের এমন মনোভাব
কেন দিচ্ছে মিথ্যা অপবাদ, কেন ফেলছে
আমার উপর অজ্ঞানতার দুষিত প্রভাব।
এযেন হৃদয়ে সর্পদংশন, বিশাল অগ্নিকুণ্ডের উত্তাপ
তবে কি নারী হয়ে জন্মে আমার স্বপ্ন দেখা পাপ।
তবে কেন বলেছিল সক্রেটিস “জ্ঞানই পুন্য।” কেন রামমোহন রায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর করেছিল লড়াই
কেন স্বাধীন দেশেও আমি শিক্ষিত হয়ে
স্বপ্ন দেখার স্বাধীনতা নাহি পাই।
যুগে যুগে এত মনিষীর কষ্টকে ব্যর্থ করে
মনের কোণে লুকিয়ে রেখেছে ঘৃণ্য কুসংস্কার
তাইতো আজ কবি হওয়ার স্বপ্নটা আমায়
মারছে কথার ছুরি, করছে তিরস্কার।
হে মহান মনিষ্যিগণ তবে কি তোমাদের
সফলতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলাম আজ?
কেন কেউ মুছে দিলো না চোখের পানি
হৃদয়ে রক্ত ঝড়ালো এই অজ্ঞাত সমাজ।