গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চক গোবিন্দ চরপাড়া যৌতুকের দাবিতে নববধূকে গায়ে এসিড ঢেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা। উক্ত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং চিকিৎসা না করে দুদিন আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে উদ্ধার করে কামারদহ ইউপি সদস্যা হ্যাপি বেগমের সহযোগিতায় গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেফার্ট করে বগুড়ার শহীদ শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে কামারদহ ইউনিয়নের চাঁদপাড়া উত্তর পাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের কন্যা মোসাম্মৎ নাসিমা খাতুন ১৮ কে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক কাবিননামা মৌলি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চক গোবিন্দ চরপাড়া গ্রামের মোজাহার আলীর পুত্র রাসেলের সঙ্গে দেড় মাস পূর্বে বিবাহ দেয়। বিবাহের পর থেকেই স্বামী শাশুড়ি ননদ এবং শশুর এর সহযোগিতায় ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে । যৌতুকের টাকা না পাইয়া নানান প্রকার জ্বালা-যন্ত্রণা করেন বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। যৌতুকের টাকা না পাইয়া আসামীগণ গত ২২ অক্টোবর ২০২১ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় সকলের যোগসাজশে ভুক্তভোগী ভিকটিমের শাশুড়ি মোসাম্মৎ সোহাগী বেগম নাসরিন এর শরীরে এসিড ঢেলে দিয়ে বিভিন্ন ক্ষতের সৃষ্টি করেছে এবং চামড়া পুড়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্যাতিত ভুক্তভোগী অসহায় নববধূ মোছাম্মদ নাসরিনের পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর বিকালে গোবিন্দগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে নাসরিনের পিতা এজাহারকারী জাহাঙ্গীর আলম জানান নাসরিন বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিপক্ষ আসামী গণ তাদেরকে মামলা করার অপরাধে গোবিন্দগঞ্জ আসতে বাধা প্রদান করছে এজাহার থানা হতে উঠে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।
ভুক্তভোগী নাসরিনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দোষী ব্যক্তিদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। সচেতন এলাকাবাসীর দাবী এসিড নিক্ষেপ কারীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।