পানির অপর নাম কেন হলোনা মরণ
মুহম্মদ রাসেল হাসান
পানির অপর নাম জীবন নয় শুধু, মরণও সচরাচর
আজ জীবনের পেয়ালা পানিতে ভাসান, দিগন্ত-চরাচর
আস্ত সমুদ্রের ন্যায় ফুসে উঠেছে
তুমুল দাপটে প্রবল ছুটেছে
নিমিষেই তার স্ফীত গর্ভে নিয়ে নিচ্ছে ড্রেজার মেশিন, রেল লাইন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাড়িঘর…
বাঁচার আর্তনাদ পৃথিবীতে দেখি সব থেকে ভয়ঙ্কর।
দুটি ফুটফুটে শিশু ডেক্সিতে বসে আছে, চারদিকে অথৈ সলিলের মাঝে
মসজিদে কোমর পানি তবু, ইমাম সাহেব খুৎবা পড়ে নিয়োজিত নামাজে
শিশুদ্বয় বুঝি স্বজন হারিয়ে
বিধাতার কাছে চলে গেছে নির্ঘাত, নশ্বর ভূলোক ছাড়িয়ে।
এক ছোট্ট রাজকন্যা ঘরের চালে বসে আছে- দেখি, মোবাইলের স্কিনে চেয়ে
একটি বিড়ালছানা বাঁচাতে মাথার উপরে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখি এক ডুবু ডুবু প্রায়, কোমলমতি মেয়ে।
গরু ছাগল বাঁচাতে, কোনোমতে যাচ্ছে অনেকে নিয়ে কাঁদে
খাদ্য নয়, সংগ্রাম শুধু এক টুকরো শুষ্ক জায়গায় যাওয়ার আর্তনাদে।
এইখানে পানি ক্রমান্বয়ে জীবন করছে হ্রাস
এইখানে প্রতিটি মিনিটের চিত্র যেন একেকটা উপন্যাস।
নির্দয় কেহ কেহ সুযোগের খেলায় টাকার নেশায় মত্ত।
কত মানুষ আর পশু মিলে হয়ে গেছে একাত্ম!
আজ নিভে গেছে বিদ্যুতের আলো, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে স্বজন, থেমে গেছে জীবনের টারবাইন
হাহাকার উঠেছে চারদিকে, প্রবল ঢেউ, ডুবু ডুবু তরী, পাল্টে গেছে জীবনের কানুন-আইন।
আমার একাকী কেঁদে বলে মন
পানির অপর কেন হলোনা মরণ।
আমার তো সামর্থ্য নেই, কেমনে যাই কাছে
কবিতাই বলে দিলাম তাই, ওরা যেন ‘কায়দা করে বাঁচে’।
রচনা- রাত ১টা ২২মিনিট
প্রথম প্রহর- ১৯শে জুন ২০২২ইং
নিজগৃহ, নগুয়া কুশলগাঁও।