২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ৯:৩৫| হেমন্তকাল|

আমার কাছে যেকোন আবেদন যৌক্তিক হলে, সেবা মিলবে যথাসময়ে।

-মোঃ রফিকুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার :
  • Update Time : রবিবার, জুন ১৯, ২০২২,
  • 43 Time View

ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও)মো. রফিকুল ইসলাম একজন আইসিটি প্রেমিক মানুষ। শিক্ষকদের কৌশলে আইসিটি জ্ঞানদানসহ দুর্বল শিক্ষককে দিয়েও পর্যাপ্ত কাজ করানোর দক্ষতা অর্জনের সফল মানুষ।
তার সাথে কাজ করতে সহকর্মী ও শিক্ষকরা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন । নিজের টেবিলে ফাইল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা অপছন্দ করেন অপরকেও বোঝানোর চেষ্টা করে । অফিসিয়াল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করেন । প্রশাসনিক কাজ সম্পর্কে ভাল ধারণা এবং অফিস টাইমে ব্যক্তিগত কাজ অপছন্দ করেন। অফিস শেষে বাসায় গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করেন । টাইম শেষে দ্রুত বাসায় ফিরে আসাকে পছন্দ এবং ভুল করেন কম । সহকর্মীদের অনেক কাজ তাদের অজান্তেই করে দেন।
সকল শিক্ষকদের স্নেহ শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মানুষ তিনি । ময়মনসিংহ জেলা আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে শিক্ষকদের মানোন্নয়নে অনলাইন প্রশিক্ষণ হয়। জুম ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখা ও শিক্ষকদের অনলাইনে লাইভে ক্লাস নেয়ার পদ্ধতি শেখানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জানা যায়, মোঃ রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর। যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন । তার অফিস দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত । তার কাছে শতভাগ সেবা পান সংশ্লিষ্টরা । তার প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহে পুরুষ শিক্ষকদের চাইতে নারী শিক্ষকরা এগিয়ে যাচ্ছেন । নারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪ হাজার আর পুরুষ শিক্ষকের সংখ্যা ১২ হাজার । জেলার মোট ছাত্র- ছাত্রীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ । স্কুল আর মাদ্রাসা মিলিয়ে ১ হাজার ৯৮টি ।
ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার কাছে যেকোন আবেদন যৌক্তিক হলে, সেবা মিলবে যথাসময়ে
। আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত । সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিভাগ প্রতিষ্ঠানগুলিকেও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে । আমাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করবেন না । ঘুষ দিলে পুলিশে দিব । জালিয়াতি করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নিব । মেধাবীরা শিক্ষকতায় এসেছেন । ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষকরা সারাদেশে মেধায় এগিয়ে আছেন । তিনি শিক্ষকদের ভূয়াসি প্রসংশা করেন । তিনি ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমল পরিবর্তন এনেছেন । ধরা যাক ময়মনসিংহের ত্রিশাল সরকারি নজরুল একাডেমীর কথা । সেখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সপ্তম / অষ্টম শ্রেনীতে পড়তেন । ছাত্র ছিলেন এই একাডেমীর । জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় ও তত্বাবধানে সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । ধরে রেখেছে ঐতিহ্য । নজরুল একাডেমী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় প্রোগ্রাম । স্কুলের শিক্ষদের সুমান ছড়িয়ে পড়েছে । নজরুল একাডেমীর মত জেলার সকল স্কুল মাদ্রাসায় সফলতা অর্জন করছেন শিক্ষকরা ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category