যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে প্রস্তাবিত বিসিক-২ এর জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।রামনগর, কাজিপুর, ভাটপাড়া ও তোলা গোলদারপাড়ার বাসিন্দাদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।তিনি বলেন, সম্প্রতি বিসিক কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসের লোকজন বিসিক-২ স্থাপনের লক্ষ্যে রামনগর ইউনিয়নের বিল হরিণায় ১৬০০ বিঘা জমির মাপজোক করে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়। অধিগ্রহণের জন্য যে জমির মাপজোক করা হয়েছে, তা তিন ফসলি আবাদি জমি। এই জমিতে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপন করা হলে চার গ্রামের প্রায় এক হাজার লোক ভূমিহীন হয়ে পড়বে। সেইসাথে কর্মহীন হয়ে পড়বে প্রায় তিনশ বর্গাচাষী। যাদের জীবন-জীবিকা ওই জমির উপর নির্ভরশীল। এছাড়া, বিল হরিণায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলে সম্প্রদায়ও কর্মহীন হয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, বিল হরিণার চারপাশে বসতি রয়েছে। এখানে শিল্পনগরী গড়ে উঠলে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি বায়ু দূষণ ঘটবে। এছাড়া, যশোরে দেখা দেবে জলাবদ্ধতা। কারণ যশোর শহরের বড় অংশের পানি নিষ্কাষিত হয় হরিণার বিল দিয়ে। যা ওই শিল্পনগরীর জন্য বাধাগ্রস্ত হবে। সার্বিক বিবেচনায় রামনগর ইউনিয়ন বিসিক-২ স্থাপন জনকল্যাণে আসবে না। এজন্য যশোরের অনাবাদী অঞ্চলে এ শিল্প নগরী গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজিজ, আব্দুল জলিল মোড়ল, আবুল কালাম কালু, শফিয়ার রহমান, অ্যাড. আবুল কায়েসসহ ইউনিয়নের চার গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকের জমি কেন নিবেন তারা অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে সেখান থেকে কিনে নিয় বিসিক করতে পারবে। কিন্তু কৃষক কই যাবে