২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| দুপুর ২:৪১| শরৎকাল|
Title :
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খোলা হলো রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের তালা মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা প্রদান ও নগদ অর্থ পুরস্কার  খাগড়াছড়িতে পিসিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী কিশোর নিহত ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বসতঘর পূর্বধলায় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন ব্র্যাকের উদ্যোগে রামগড়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ  ও  স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি।

এম এম আল মামুন,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, জুন ১৬, ২০২২,
  • 26 Time View

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় কালজানি, দুধকুমোর, ফুলকুমার সহ সব নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক অঞ্চল।
উপজেলার পাইকেরছড়া, শিলখুড়ি,চরভুরুঙ্গামারী, সোনাহাট, বলদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এখন পানিবন্দী। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শাক-সবজি, পাটের ক্ষেত সহ অনেক ফসলি জমি।
এছাড়া রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তায় পানি, ও বিদ্যালয় মাঠে পানি উঠায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান।
পাইকডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বলেন স্কুলের যাতায়াতে রাস্তা কয়েক জায়গায় তলিয়ে গেছে আমরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসছি কিন্তু অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে পারছেনা। এতে পড়াশুনার খুব ক্ষতি হচ্ছে।
ইসলামপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন বন্যার পানিতে বেগুন ক্ষেত তলিয়ে গেছে৷ এতে আমার অনেক ক্ষতি হবে।
পাইকেরছড়া গ্রামের কৃষক সিদ্দিক আলী বলেন আগাম বৃষ্টিতে এবার পাটের আবাদ সময় মত করতে পারিনি। আবার আগাম বন্যায় পাটের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
সোনাহাট ইউনিয়ন এর চৌধুরী বাজার নিবাসী আবু হাসেম বলেন প্রতি বছর বন্যায় নদীর তীর ভেঙে যায়৷ এবারের বন্যায় ভেঙে গেলে তার বসতবাড়ি ভেঙে যাবে। দুধকুমার নদের তীর বাধের অনুমোদন হলেও সেটা বাস্তবায়ন এখনো হয়নি, যদি সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন হয় তাহলে আমরা হয়তো ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে পারবো।
পাইকেরছড়া ইউনিয়নের উঃ গছিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক মোছাদ্দেক হোসেন টুলু বলেন প্রতি বছর আমাদের এলাকায় বন্যা এলেই ভাঙ্গন শুরু হয়, নদী তীরবর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুকিপূর্ণ।
দ্রুত দুধকুমার বাধ প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে হয়তো প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আবারও নদীর বুকে বিলীন হতে পারে। দুধকুমার বাধ প্রকল্পটি দ্রুততম বাস্তবায়ন করতে এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category