বাংলাদেশ টেলিভিশনের আশির দশক থেকেই তুমুল জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। যুগ যুগ ধরে দর্শকদের মনের কোণে জায়গা দখল করে থাকা এই অনুষ্ঠানের প্রাণভোমরা হানিফ সংকেত। তাঁর সুবাদেই অনুষ্ঠানটি এতো জনপ্রিয় ও দর্শকনন্দিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বিনোদনের পাশাপাশি সচেতনতা, সামাজিক শিক্ষার বিস্তার যেমন প্রসারিত করেছেন, তেমনি সমাজের নানান অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। আজ জনপ্রিয় এই মানুষটির জন্মদিন।
১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত। প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দিয়ে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর তিনি দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ নিয়ে হাজির হন। এখনো তিনি স্যাটেলাইট চ্যানেলের রাজত্বেও ‘ইত্যাদি’ নিয়ে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে রাজত্ব করে চলেছেন।
কিছুটা রম্যভাবে তিনি সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও তার বিরোধিতা করে সামাজিক করণীয় তুলে ধরেন তিনি। হানিফ সংকেত নিজের কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন একজন মানুষ।
নাটক পরিচালনাতেও হানিফ সংকেত দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা। তাঁর পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি।‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র… ’, ‘প্রতি ও ইতি’, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম।
এ ছাড়া তাঁর লিখিত রম্য সাহিত্য পাঠক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়।
সামাজিক কার্যক্রমের জন্য হানিফ সংকেত ২০১০ সালে সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়া ২০১৪ সালে তিনি জাতীয় পরিবেশ পদক লাভ করেন।