দাকোপ উপজেলা চালনা পৌরসভাধীন ক্লিনি গুলো অনিয়ম নোংরা পরিবেশ ও রোগীদের শরীর পরিক্ষার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি রয়েছে। চালনা পৌরসভায় অবস্থিত কয়েকটি ক্লিনিক যা শুধু নামের উপর রয়েছে। যেমনঃ কুইক কেয়ার ক্লিনিক, চালনা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, চালনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তোয়া- মাহি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বায়ো-প্যাথ ২ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এসব ক্লিনিকে চলছে রোগীদের সাথে এক প্রতারনা এবং হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খেলা।
রোগীদের জিম্মি করে বানিয়ে দেয় পাগলা ঘোড়া।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ক্লিনিকের ভিতর নোংরা পরিবেশ ও পরিক্ষা নিরীক্ষা করার যন্ত্র অনেক পুরানো ও নরমাল।
যাহা শুধু রোগীরা হয়রানির শিকার । একই পরিক্ষা বার বার করতে হয়, বার বার করেও কোন ভাল রেজাল্ট আসে না।
প্রত্যেকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভিতর গেলে বের হয়ে আসে বাস্তব গোপন তথ্য।
সেখানে রোগীদের সিজারের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য দওয়ালে যে তালিকা বা সার্টের মুল্য দেওয়া রয়েছে, তার বাইরে রোগীদের কাছ থেকে টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া পরিক্ষা বা ল্যাব রুমের অবস্থা খুব নোংরা পরিবেশ।
যেখানে একই সিরিঞ্জ বার বার ব্যবহার করা সহ ও রক্ত পরিক্ষা, ডায়বেটিস, প্রসাব, এক্সরে, ইত্যাদি পরিক্ষার জন্য কোন নিয়মিত টেকনিশিয়ান নাই।
এবিষয় জানার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিকে সাংবাদিকরা প্রবেশ করেন। তথ্য সংগ্রহ কালে কুইক কেয়ার লাইক ক্লিনিকের মালি মোবাইল ফোনে
হুমকি সহ অকথ্য গালাগালি করেন ফোনে তিনি বলেন দেখে নিবে।
চালনা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স ও কুইক কেয়ার লাইক ক্লিনিকের ভিতরে প্রবেশ করে চোখে পড়ে অনেক রোগী।
রোগীদের ভিতর সিজারের রোগী বেশি। তার পাশাপাশি এ্যাপয়েন্টিস রোগীও রয়েছে। তবে একটি বিষয় পুরোপুরি পরিস্কার জানা যায়,রোগীদের সাথে চুক্তি করে এক এক জনের কাছ থেকে আলাদা আলাদা অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অনেক রোগীরা বা রোগীর আত্নীয় স্বজনেরা সাংবাদিকদের সামনা-সামনি কিছু না বলেও, গোপনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান, দাকোপ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদার, চালনা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে রোগী পাটিয়ে দেয়।
ওখান থেকে পরিক্ষা নিরীক্ষা না করলে রোগী দেখেন না।
দাকোপ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ মোজাম্মেল হক সাহেবেও ডাঃ সন্তোষ কুমার
মজুমদারের নামে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
অফিস চলাকালীন সময়ে ডাঃ সন্তোষ কুমার মজুমদার রোগী দাড়ি থাকে,আর তিনি মোবাইল ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
কিছুক্ষণ পরেই সিজার বা এ্যাপান্টিস কোন না কোন রোগী আসলে চলে যান অপারেশন রুমে।
আর পড়ে থাকে রোগীর সরকারি ডেসক্রিপশন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরো জানা যায়, দাকোপ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি একজন ডাক্তার চালনা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে শেয়ার রয়েছেন। তাই রোগীদের জোর করানো হয়।
উপরোক্ত চালনা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স থেকে পরিক্ষা নিরীক্ষা করানোর জন্য। আর যদি রোগী অন্য অন্য কোথাও হতে পরিক্ষা নিরীক্ষা করেন, তাহলে সে রোগী দেখেন না।
বাংলাদেশের প্রত্যেক এলাকা শহরে ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হলেও দাকোপের চালনাতে কোন ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।