২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ৭:৩৬| হেমন্তকাল|

ধামইরহাটে জমজ দুই কন্যা সন্তানসহ ৩ মেয়েকে লালন-পালনে সহযোগিতা চায় পিতা আব্দুল কাদের

রিপোর্টঃ মেহেদী হাসান
  • Update Time : সোমবার, জুন ৬, ২০২২,
  • 39 Time View

নওগাঁর ধামইরহাটে আলমপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের। বাবার অবর্তমানে বিধবা মা, দুই ভাই বোনসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট ওই সংসারের হাল ধরেন আব্দুল কাদের। ২০১২ সালে ৩ হাজার ৪শত বেতনে ঢাকার একটি সিকিউরিটি কোম্পানীর মাধ্যমে ধামইরহাটে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব নেন, নিজের ও অসুস্থ মায়ের সেবাযত্নের জন্য আব্দুল কাদের বিয়ে করলে একটি কন্যা সন্তান ঘরে জন্ম (নূরে জান্নাত (৮) নেয়। সম্প্রতি আব্দুল কাদেরের বেতন দ্বিগুন হলেও সংসারে আবারও জন্ম নেয় দুই জমজ কন্যা সন্তান আজিফা ও আদিবা, বয়স তাদের ৬ মাস। কিন্তু দরিদ্র আব্দুল কাদের মা, স্ত্রী, কলেজ পড়–য়া বোনের খরচ যোগাতে হিমশিম খান, তার উপর জমজ দুই কন্যা সন্তান মায়ের বুকের দুধ খেতে না পারায় তাদের বিকল্প খাবার দিয়ে তাদের মানুষ করতে হয়, আর এতে খরচ বেড়ে যায় বহুগুন। এমন অভাবের পরিস্থিতিতে অতি কষ্টে দিনকাটানো অপর দুই ভাই তোফায়েল ও আজিজ ঢাকায় গার্মেস্ট এ কাজে যোগদেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের জানান, আমার সংসারে অসুস্থ্য মা, পরিবারের খরচ, বোনের লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি দুই সন্তানের জন্য সপ্তাহে দেড় হাজার টাকার বায়োমিল ও ল্যাকটোজেন-১ কিনতে হয়, আমি কোন ভাবেই আমার সংসারের খরচ মেটাতেই পারছি না, তাছাড়া সন্তানদের মুখে ঠিকমত খাবারও অনেক সময় দিতে পারি না, তাই আমি সমাজের বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সাহায্য কামনা করছি।’ কাদেরে স্ত্রী মাইমুনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী কারও কাছে চক্ষু লজ্জায় হাত পেতে সহজে চাইতে পারে না, যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তখন সাংবাদিক ভাইদের ডেকেছি, আপনার আপনারা আমাদের এই কষ্টের কথা সবাইকে জানিয়ে দিয়েও যদি আমাকের কষ্ট কিছুটা লাঘবে সহায়ক হয়, তবুও সেটা আনন্দের।’ কাদের মাইমুনা দম্পতি (০১৭৫৮-৮৬০১৮৫ বিকাশ) সকলের কাছে সাহায্য চেয়েছেন দুটি কন্যা সন্তানকে মানুষ করার জন্য।
ভুক্তভোগী কাদেরের এই কষ্টের খবর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে দেখার পর তাৎক্ষনিক ভাবে ব্রনাই প্রবাসী শিহাব উদ্দিন ও আমেরিকা প্রবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মো. ফিরোজ হোসেন পাশে দাড়িয়েছেন আর্থিক ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে। এ সময় ধামইরহাটের এই দুই কৃতি দুই সন্তান ব্রনাই প্রবাসী শিহাব উদ্দিন ও এমেরিকা প্রবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মো. ফিরোজ হোসেন বাংলাদেশের তথা ধামইরহাটের বিভিন্ন সম্পদশালী হৃদয়বানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category