ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ৮টি বসতঘর। ক্ষতিগ্রস্থরা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আগুনে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। ২৪ মে (মঙ্গলবার) রাত ১১টার দিকে উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের আলফাপুর গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে শৈলকুপা ও পার্শ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রতিবেশী হারুন বিশ্বাসের রান্নাঘরের চুলার আগুন থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয়রা জানান।
জানা গেছে, আগুনে নগদ টাকা, টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র, স্বর্ণাংকার, ধানপাট, পেয়াজ রসুন, গম, হাঁস মুরগী ,শিক্ষার্থীদের বইখাতা, স্কুল ড্রেস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৮টি ঘরগুলোর সিমেন্টের খুটি ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। ভুক্তভোগীরা হলো- মসলেম বিশ্বাসের ছেলে হারুন বিশ্বাস, নিয়ামত বিশ্বাসের ছেলে মোজাফফর বিশ্বাস, আরিফ বিশ্বাস, আজমল বিশ্বাস, মারুফ বিশ্বাস, মৃত আরব আলী বিশ্বাসের ছেলে মানিক বিশ্বাস, সেলিম বিশ্বাস, সামাদ বিশ্বাসের ছেলে সাত্তার বিশ্বাস, সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে লতিফ বিশ্বাস, হাসিব বিশ্বাস ও মৃত মোসলেম বিশ্বাসের স্ত্রী জুলেখা খাতুনের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তারা তাদের গায়ে থাকা কাপড় ছাড়া অন্য কোনো সম্পদই উদ্ধার করতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্থ এবং স্থানীয়রা জানান, আগুনে আনুমানিক ১১টি পরিবারের ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শৈলকুপা ফায়ার সার্ভিসের ওয়ের হাউজ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরে তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
এসময় খবর পেয়ে ছুটে আসেন, বগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যথাসাধ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করা হবে।