ঝিনাইদহ জেলা কালীগঞ্জ উপজেলা ৯নং বার বাজার ইউনিয়নের মাাঝদিয়া বাওয়াড়ের প্রায় ২কোটি টাকার মাছ মারা গেছে। তবে কিভাবে এতো মাছ মারা গেলো তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও মৎস কর্মকর্তা বলছে,অক্সিজেন সংকটের কারনে মাছগুলো মারা গেছে। আর স্থানীয়রা বলছেন বিষক্রীয়ার কারনে মাছগুলো মারা গেছে।
শনিবার ও রোববার এ দুই দিনে বাওড়ের ছোট বড় সব ধরনের সব মরা মাছ ভেসে উঠেছে দেখা যায়। ৪৫০ একর একর জমির উপর এ বাওড়ে প্রায় ৩০০ মৎসজীবির কর্মসংস্থান রয়েছে। এসব মৎসজীবিদের সংগঠন এই বাওড়ে মাছ চাষ করে। বাওড়ের আয় থেকে তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। হঠাৎ এ মাছ মরে যাওয়া এসব মৎসজীবিরা পথে বসেছে। মরে যাওয়া মাছগুলোর ওজন প্রায় ৩ হাজার কেজি হবে বলে মৎসজীবি ও স্থানীয়রা বলছে।
এসময় সাথে সাথে খবর পেয়ে ছুটে আসেন,ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ারুল আজিম আনার। এছাড়াও উপস্থিত হোন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শিবলী নোমানী, উপস্থিত ছিলেন বার বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
স্থানীয় কৃষক সবুর উদ্দীন জানান, শনিবার সকাল ৬টার দিকে প্রবল গতির টর্নেডো বয়ে যায়। এরপর আমরা মাঠে কাজ করতে এসে দেখি বাওড়ের ২ একটি মাছ মরে ভেষে উঠছে। তখন আমরা মাছগুলো ধরি। অনেকে মাছগুলো ধরে বাড়ি নিয়ে যায় কিন্তু আজ সকালে বাওড়ের পাশে এসে দেখি হাজার হাজার মাছ মরে তারার মত ভেসে আছে। আমার ৩০ বছর জীবনে কখনো এ বাওড়ে এভাবে মরা মাছ দেখিনি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার খোকন,ওবারবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, যেভাবে মাছ মরেছে তা বর্ণনা করার মত না। বাওড়ে মরে যাওয়ার মাছের ওজন প্রায় ৩ হাজার কেজি হবে। এসব মাছের মধ্যে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। এ বাওড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের কর্মসংস্থান রয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করছি মাছ মরার পিছনে কোন মহলের ষড়যন্ত্র আছে কিনা। তবে প্রাথমিকভাবে সবার সাথে কথা বলে যেটা জানা গেছে, শনিবার ভোরে প্রবল বেগের ঘুর্নিঝড়ের ফলে বাওড়ের পানি একপাশে উঠে যায়। ফলে মাছগুলো কাদার মধ্যে প্রবেশ করে স্ট্রোক করে মারা যেতে পারে।
কালীগঞ্জ উপজেলা সিনিয়ার মৎস কর্মকর্তা হাসান সাজ্জাদ জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বাওড় পরিদর্শন করি। অক্সিজেন সংকটের কারনে এ মাছগুলো মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে। তবে পানি পরীক্ষার পর আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জাানান। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এরপরই মুলত মাছগুলো মরে যেতে থাকে। যে কারনে ধারনা করা হয়েছে অক্সিজেন সংকটের কারনে এমন হতে পারে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার জানান, সংবাদ পেয়ে আমি বাওড়ে গিয়েছিলাম। যেভাবে মাছ মরেছে তা বর্ণনা করার মত না। আমি মৎসজীবিদের সাথে কথা বলেছি। প্রশাসন মৎস্য অফিসারের সাথেও কথা বলেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। মাছ মরার পিছনে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াা হবে।