বঙ্গোপসাগরের জলরাশির অপার সৌন্দর্যে
আমি বসে আছি একাকী নির্জনে নারিকেলকুঞ্জে
সাগরের তলদেশ থেকে জোয়ারে ভেসে আসা
কার্পেটের মতো বিছানো অজস্র ঝিনুকের উপরে।
রূপালী আকাশে লাল হয়ে সূর্যটা ডুবে
নেমে আসছে ধীরে ধীরে ধুসর অন্ধকার
সুশোভিত চোরাবালির রাস্তা ধরে মাঝেমধ্যে
দু-একটা গাড়ি শোঁ শোঁ করে চলেছে ঝাউবনের দিকে।
তাকিয়ে আছি সমুদ্রের বিশালতার দিকে
দুলছে সাগরে ফুঁসে আসা উপচে পড়া ঢেউ
কী অপরূপা দৃশ্য! প্রকৃতি যেন হাসছে।
শিশিরের ঝিলমিল জোৎস্নার আভায়
রুপালি আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি দিচ্ছে
ঝিরঝির শীতের হিমেল বাতাস বইছে
ভালোবাসার অকৃত্রিম রূপ ভেসে বেড়াচ্ছে।
হঠাৎ চোখ হারিয়ে গেছে দূর সীমানায়
ভালোবাসার গোলাপ রানীর খোঁজে
আমি গোলাপ রানীকে খুঁজতে গিয়ে
নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি সমুদ্রের ঢেউয়ে
মনের ভিতর হাজার প্রকারভেদ
মনে হচ্ছে এইতো আছি গোলাপ রানী বাগানে।
বুলবুলি পাখির ন্যায় আলিঙ্গন করায় গোলাপকে
বুকের ভিতরে গোলাপের অজস্র কাঁটা বিঁধছে
সমস্ত শরীরে ব্যাথার জোয়ার-ভাটা বেলা অবেলায়
প্রতিটি সময় কাটে হৃদয়ের রক্তক্ষরণের যন্ত্রণায়।
আকাশটা ঝকঝকে নীল, কোথাও মেঘের চিহ্ন নেই
এই সাগর চোরাবালির নোনাজলে একাকীত্ব মনে
পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় উঁকি দেয় আজ হারানো অনুভূতি
অযাচিত ভাবনায় ভীষণ মনে পড়ছে গোলাপ রানীকে।
বিষন্ন হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে কবর খুঁড়ে
গোলাপ রানীর কথা লুকাই গোপনে দিনের শেষে।