২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| দুপুর ১:১৪| শরৎকাল|
Title :
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খোলা হলো রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের তালা মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা প্রদান ও নগদ অর্থ পুরস্কার  খাগড়াছড়িতে পিসিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী কিশোর নিহত ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বসতঘর পূর্বধলায় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন ব্র্যাকের উদ্যোগে রামগড়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ  ও  স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

বানারীপাড়ায় ঘর ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় পি বি আইর তদন্ত রিপোর্টের সাথে বাস্তব ঘটনার পার্থক্য। বাদীর নারাজি।

বরিশাল প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, মে ২১, ২০২২,
  • 34 Time View

বরিশালের বানারীপাড়ায় কাজলাহার গ্রামে এক বিধবার ঘর ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় মামলার বিপরীতে পি বি আইর তদন্ত রিপোর্টের সাথে বাস্তব ঘটনার মিল না থাকায় এবং সাক্ষিদের সাক্ষ্য ঘুরিয়ে বিবাদীদের পক্ষে রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ এনে বাদী এই তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন। গত ১৯/১১/২১ তারিখ সকাল ৪/৩০ এ উপজেলার কাজলাহার গ্রামের কাদের হাওলাদারের মেয়ে কাকলী বেগমের বসত ঘরে জুরান বাকচি, মনির মৃধা, কমল বাকচি, রিপন সরদার, পলাশ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে কাকলীকে মারধর সহ টিনের ঘর ভাংচুর করে। কাকলীর ডাকচিৎকারে স্বাক্ষীগন সহ এলাকার অনেক লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়। স্বাক্ষীগনের সহায়তায় কাকলী বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে উক্ত হামলাকারীদের বিবাদী করে কাকলি বেগম ২২/১১/২১ তারিখ সি আর ২০৭/২১ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত ভার পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই),বরিশাল জেলার উপর। তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট, বানারীপাড়া আমলী আদালত, বরিশাল বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে তদন্ত অফিসার উল্লেখ করেন উক্ত তারিখে ঘটনাস্থলে কোন ঘটনা ঘটার প্রমান মেলে নি। পাশাপাশি আরো উল্লেখ রয়েছে যে বাদীর মানিত স্বাক্ষি সহ নিরপেক্ষ তিন জন স্বাক্ষিদের স্বাক্ষিতেও ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমন তদন্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে পক্ষ পাতিত্যের অভিযোগ এনে বাদী কাকলী বেগম বিজ্ঞ আদালতে নারাজী দিয়েছেন এবং বাদী বলেন স্বাক্ষীগন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)র তদন্ত অফিসারের সামনে যে স্বাক্ষী দিয়েছেন রিপোর্টে তা না এসে তার উল্টো স্বাক্ষ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমি এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে পূনরায় পক্ষপাত তুষ্ঠ না হয়ে ন্যায় নিষ্ঠাবান অফিসারের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করে সঠিক রিপোর্টের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচারের দাবী করছি। মামলার বিষয় ও উক্ত তারিখে ঘটনার বিষয়ে মামলার স্বাক্ষীগনের মধ্যে স্বাক্ষী নজরুল ইসলাম বলেন ঘটনার দিন ডাক চিৎকার শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে কাকলী বেগমের টিনের ঘর ভাংচুর সহ কামলীকে মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখি। নজরুল আরো বলেন আঘাতের কারনে কাকলীর চোখ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। আর এক স্বাক্ষী সাহেব আলী বলেন ডাক চিৎকার শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাকলীকে আহত অবস্থায় বমি করে রাস্তায় পরে থাকতে দেখি,পাশাপাশি ঘরের টিন ও ভাংচুর দেখি, আর এক স্বাক্ষী মঞ্জু আরা বলেন অনেক ডাকচিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাচাও বাচাও ডাক চিৎকারে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাকলীকে আহত অবস্থায় দেখতে পাই। তার বসতঘর ও ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পাই। স্বাক্ষীগনদের কাছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র কাছে কেমন স্বাক্ষি দিয়েছেন জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা এই কথা গুলোই বলেছি। কি ভাবে কোন কারনে আমাদের স্বাক্ষ্য ঘুরে গেলো তা আমরা জানি না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category