"সুস্থ সংস্কৃতির নান্দনিক বিকাশ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ সমাজ''এই স্লোগানে
আজ রবিবার ১৮ই মে'২২ সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ( সসাস) কর্তৃক আয়োজিত রাজশাহী বিভাগের শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে দিন ব্যাপি সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সারাদেশ ব্যাপি ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করছে সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস)। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে বিভাগের শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মশালা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় ২৫ টি শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কর্মীগণ অংশগ্রহন করেন।
উক্ত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ (সসাস) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সসাসের আবৃত্তি ও উপস্থাপনা সম্পাদক শাফায়েত উল্লাহ, শিশু-কিশোর বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসাইন সহ সমন্বয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ এর চেয়ারম্যান, হিল্লোল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক এর চেয়ারম্যান হুমায়ুন আহমেদ।
প্রধান অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও সমন্বয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ বলেন, বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সংস্কৃতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং গেমস সংস্কৃতির কালো থাবায় আটকে গেছে আমাদের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা। আমাদের ধর্মবিশ্বাসের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা আবহমান কালের চিরায়ত সংস্কৃতি থেকে সুকৌশলে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে বিশ্বাসী চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধের সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণ প্রজন্মের সংস্কৃতিকর্মীদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এ লক্ষে তাদের যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী এবং আন্তরিক হওয়া এখন সময়ের দাবী।
প্রধান আলোচক আব্দুল্লাহ আল নোমান ইসলাম তার বক্তব্যতে বলেন,"ইসলাম একপ্রকার পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসাবে শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় জীবন পরিচালনা করে তা নয়, বরং সামগ্রিক জীবন ব্যবস্থার এক অনিবার্য প্রভাব বিস্তার করে। ব্যক্তিগত, সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, শিক্ষা-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জীবনাচারন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে ইসলাম। এছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক কর্মীর বৈশিষ্ট্য, গান, প্রতিযোগিতা, শিশু কিশোর, প্রি পোডাকশন-পোষ্ট প্রোডাকশন, শিল্পীদের যত্বের বিষয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেন।
সমন্বয়ের চেয়ারম্যান শাহিন আলম বলেন, ইসলামি সংস্কৃতি মানেই হলো সাহাবীদের সংস্কৃতি, সাহাবীরা যে সংস্কৃতি লালন করতেন আমাদেরও সেই সংস্কৃতি লালন করতে হবে। তিনি ইসলামী সংস্কৃতির স্বরূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। ইসলামি সংস্কৃতি বিপ্লব ছাড়া ইসলামী বিপ্লব কল্পনা করা যায় না। সাহাবাদের জীবনীতে আমরা দেখতে পাই যখন যেটা প্রয়োজন তখন সেটাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কখনও কবিতা ও গানের মাধ্যমে উজ্জীবিত করা হতো। এজন্য তিনি ইসলামি সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরার পাশাপাশি সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, সসাসের আবৃত্তি ও উপস্থাপনা সম্পাদক শাফায়েত উল্লাহ।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান: মোঃ শফিউল ইসলাম শফিক; সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মোস্তফা রুমি, এলএল.বি(অনার্স), এলএল.এম, 01715672097; ( বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধন আবেদন পত্রের ক্রমিক নং: ৬৫৭/২২ )
কপিরাইট © ২০২৫ swadeshkonthoprotidin এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।