২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ৮:৫৭| হেমন্তকাল|

হেরার জ্যোতিতে জ্যোতির্ময় গোটা বিশ্ব। (২য় পর্ব) সামছুদ্দোহা ফরিদ।

শামীম তালুকদার
  • Update Time : বুধবার, মে ১৮, ২০২২,
  • 69 Time View

আল্লাহ সকলের জন্য, নবীজি (সাঃ) ও সকলের জন্য, আল্লাহ রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে নবীজি (সাঃ) কে কোরআনে ঘোষণা করেছেন। ধর্ম কেবল মুসলিমদের ওয়ারিশ নয় বরং সকলের জন্য উন্মুক্ত।
তবে কেন এত মতবাদ, এত দূরত্বের ব্যবধান?
আল্লাহ শুধু মুসলমানদের জন্য মিজানের পাল্লা বা নিত্তি রেখেছেন কাফের বেঈমান কিংবা মোনাফেকদের জন্য নয়। আল্লাহ বিচার করবেন কোরআন দিয়ে মানুষের বানানো কোন গ্রন্থ দিয়ে নয়। যারা কোরআনকে প্রত্যাখ্যান করে নিজের জ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে স্রষ্টার প্রতি আংগুল তোলে, তারা কতই না ভয়ানক! আমরা কোরআন কে বিজ্ঞানময় না বলে বরং বিজ্ঞান কোরআনময় বলি। যারা ভিন্ন কথার ফাঁদ পেতে কোরআন কে অবমাননা করে তারা মোনাফেক। ইসলাম কে শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলার মাধ্যমে মূর্খ মুসলমানদের খুশি করা যেতে পারে আল্লাহ কে নয় কারণ আল্লাহ কোরআনে একমাত্র ধর্ম বলে ঘোষণা করেছেন। শ্রেষ্ঠ কথাটির মাঝে বহুত্ববাদের ঈঙ্গিত বহন করে অর্থাৎ তুলনামূলক অন্যান্য ধর্ম কে স্বীকার করার প্রক্রিয়া মাত্র। অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তুকে মূল্যায়ন করার প্রয়াস। আমরা মুসলমান, মুসলিম হিসেবে কোন ভাবেই আচার আচরণ ও কর্মের দ্বারা শিরকের প্রভাবিত হতে পারি না। কারণ এটা মুসলিমের কাজ নয়, কাফেরের কাজ। শিরক মুক্ত মানুষ জান্নাতী। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ভাবে শিরকের বেড়াজালে পরিবেষ্ঠিত। ইচ্ছাকৃত যারা অবস্থান নিয়েছেন কথাটা তাদের জন্য নয়। জাগতিক ধারণায়, শব্দ ও কথায় শিরকের ক্ষেপণাস্ত্র টি কেহ না কেহ মুসলমানদের বুকে আঘাত হানছে। প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহর সাথেই ওরা যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে। টাকাকে প্রাধান্য দিয়েও অনেকের ঈমান বিক্রি হচ্ছে। মুসলিম নামধারী ইসলামের মত রত্ন কে না বুঝেই পরশ পাথর কে দূরে রাখে এবং আল্লাহর একত্ববাদে আঘাত হানে। ওরা কত সুন্দর পরিকল্পনাকারী,
শিরকের বীজ সুপ্ত ও সূক্ষভাবে মুসলিম হৃদয়ে বপন করছে। খোদা,গড, আর্শীবাদ, ভাবমূর্তি, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ইত্যাদি শিরক শব্দে আচ্ছন্ন মুসলিম হৃদয়। বিকল্প শব্দ গুলো বের করে লক্ষ্মীর পরিবর্তে বরকতময় অথবা বরকতময়ী বলতে পারি। শিক্ষা ছাড়া যেমন খাঁটি মুসলমান হওয়া যায় না তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোন অমুসলিম স্বীয় মতবাদের ঊর্ধ্বে এসে সত্যের অনুসন্ধান করতে পারে না। যাকে শ্রেষ্ঠ বলে গন্য করা হয়, সেটাকে গ্রহণ না করে কেন নিকৃষ্টে আটকে থাকব? পৃথিবীর একশত মনীষীর মাঝে হযরত মোহাম্মদ( সাঃ) শ্রেষ্ঠ বলা সত্ত্বেও, তাকে কেন গ্রহণ করা হচ্ছে না? কারণ আমরাই সেই হেরার ধ্বনি পৌঁছাতে ব্যর্থ। বিদায়ের ভাষণে নবীজি (সাঃ) বলেন যে তোমারা কোরআন আর হাদিস নামক দুটি রশিতে দৃঢ় ভাবে ধরে থাকলে বিপদগামী হবে না। আর আমার কথা গুলো অন্যের কাছে পৌঁছায়ে দিও। সুতরাং নিজেরা রশি ধরে রাখা আর অন্যের কাছে পৌঁছানো কোন টার কি দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছি? নিশ্চয়ই না। বরং আমরা নিজেরাই শতধা বিভক্ত সে জাহিলিয়াতের মত। শুধু ধরণ টা পরিবর্তন যাকে বলে সভ্যতার নামে অসভ্যতার অনুপ্রবেশ। বাহাত্তর প্রকার মানুষ বাহাত্তর রোগে আক্রান্ত যে রোগের প্রতিকার আল্লাহ জাহান্নাম ছাড়া কিছুই রখেন নি। নাউজুবিল্লাহ।
বিভিন্ন মতবাদীদের মতবাদ আজ অসার, বৈজ্ঞানিকদের গবেষণা পণ্ডশ্রম, কোরআনের কাছে কালের ব্যবধানে সত্য প্রকাশ পাচ্ছে। যারা বলে, যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না। তাদের প্রলাপ এখন হাস্যকর। আজ প্রমাণিত দেখার চেয়ে অদেখার বা অদৃশ্যের সংখ্যাই বেশি। বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি আমিত্বটাকেই কেহ জানতে পারল না।( চলবে)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category