মুন্সীগঞ্জর গজারিয়া উপজেলা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার অংশে দুবাই ফেরত ফুয়াদ (৩৫) ও সোয়াব আলী(৩৬) এবং মোহাম্মদ আলী(৪০) নামে তিন যাত্রীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
দুবাই প্রবাসী যাত্রীরা হলেন, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ফুয়াদ একই থানা এলাকার মৃত শিকিম আলীর ছেলে সোয়াব আলী, অপরজন চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী।
শনিবার সকাল ৫টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকায় কুমিল্লামুখী সড়কে এঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা প্রবাস ফেরত যাত্রীর কাছ থেকে পাসপোর্ট টিকেট, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কয়েকটি মোবাইল সেট ও অন্যান্য মালামালসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসী ফুয়াদ মিয়া গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী যাত্রীরা ফুয়াদ, সোয়াব আলী, মোহাম্মদ আলী জানান, দীর্ঘ বছর পর দুবাই থেকে ছুটিতে তারা দেশে আসেন।শনিবার সকাল ৫টার দিকে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বালুয়াকান্দি এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি সাদা মাইক্রোবাস পিছন থেকে হেড লাইট জ¦ালিয়ে ডিপার দিলে প্রাইভেটকারের চালক মহাসড়কের পাশে পার্কিং কর। এ সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে ৮/১০ জনের একটি ডাকাতদল সাদা মাইক্রোবাস থেকে নেমে আমাদের গাড়িটি ঘেরাও করে ভয় দেখিয়ে আমার সঙ্গে থাকা ভিসা লাগানো পাসপোর্ট টিকেট, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কয়েকটি মোবাইল সেট ও অন্যান্য মালামালসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়।
ডাকাতি হওয়া প্রাইভেটকারের চালক আমির হোসেন বলেন, সাদা মাইক্রোবাসটি আমার গাড়ির পিছন থেকে ইশারা দিলে আমি সাইট করি। আমি মনে করেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি। পরে ডাকাতদল যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে। এসড়কে চলাচল করার সময় রাতে ডাকাত আতঙ্কে থাকেন চালক ও যাত্রীরা। এসড়কে প্রায়ই রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত চক্রের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি ও অটোরিকশার চালকরা। তবে ডাকাতদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট বিদেশ ফেরত গাড়ির উপর।
এব্যাপারে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, দুবাই প্রবাস ফেরত তিন যাত্রীর গাড়িতে ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন আমাদের ফাঁড়ির একটি গাড়ি দিয়ে মহাসড়কে আমরা ডিউটি করি আজ মহাসড়কে আরো ডিউটি বাড়াবো।