শৈলকূপা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে চিকিৎসাসেবা কিছুটা উন্নত হলেও দীর্ঘদিনের সংকট ডায়রিয়া ওয়ার্ড। যেখানে বেডের সংখ্যা মাত্র ৭টি। সবচেয়ে ভয়ংকর সমস্যা হলো পুরুষ ওয়ার্ডের ভিতরেই গড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ড। যেখানে ডায়রিয়া ও সাধারন রোগীরা পাশাপাশি সবস্থান করেছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু নেই কোন প্রতিকার। সরেজমিনে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের বাথরুমের পাশেই ৭টি বেড নিয়ে গঠিত ডায়রিয়া ওয়ার্ড। বাথরুমের পাশেই দুপাশে কাগজের ব্যানার দিয়ে ঢাকা ডায়রিয়া ওয়ার্ড। ডায়রিয়া রোগটি সাধারণত অন্ত্রে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ডায়রিয়া হয়। ডায়রিয়ার জীবাণু দূষিত খাদ্য ও পানির মাধ্যমে মানুষের পেটে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে ডায়রিয়ার জীবাণুগুলো হাতের মাধ্যমে, মাছি বা তেলাপোকার মাধ্যমে, এমনকি অনেক সময় সরাসরি খাদ্য ও পানিতে সংক্রমিত হয়। এতো ভয়ংকর ঝুঁকিতেও সাধারন রোগীর পাশাপাশি সবস্থান ডায়রিয়া রোগীর। এমনকি বেড সংকটে ডায়রিয়া রোগীকে রাখা হয় সাধারন রোগীর পাশে। অপরদিকে সাধারন ও ডায়রিয়া রোগী একই বাথরুম ব্যবহার করছে। সাধারন রোগীরা ডায়রিয়া রোগীর বেডে বসা, পানির বোতল ও প্লেট ব্যবহার করছে হরহামেশাই। তাতে কোনো ধরনের সচেতনতা বার্তা দেখা মেলেনি দায়িত্বরত নার্স কর্তৃক। তবে যাইহোক ডায়রিয়া জীবাণুর প্রকোপ কমাতে ও রোগীর যথাযথ সেবা নিশ্চিতে ডায়রিয়া ওয়ার্ড আলাদা করতে এখন সময়ের দাবি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবিষয়টি দ্রুত সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা।