৮/৫/২০২২সোনারগাঁ উপজেলার সুমিষ্ট রসালো ফল লাল টসটসে লিচু গাছে গাছে। এ উপজেলার লিচুর দেশব্যাপী কদর থাকায় বেশি লাভের আশায় আধপাকা লিচু বিক্রির জন্য বাজারে আনছেন ব্যবসায়ীরা। লিচু চাষিরা লাভে আশায় দিন গুনছেন। কিছু কিছু বাগানের দেশী পাতি লিচু ভাঙতে শুরু করেছে ব্যবসীয়রা।
তীব্র গরম ও সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অনেক মুকুল আসলেও লিচুর গুটি অধিকাংশই ঝড়ে পড়েছে। দাম ভালো পাও আশায় লিচু চাষিরা স্বপ্ন দেখেছেন। লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, এই সময়ে আগাম লিচু বিক্রি হয় প্রতি হাজার ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় কিন্তু এ বছর লিচুর ফলন ভালো না হওয়ায় এখনও পরিপূর্ন ভাবে বাজারে লিচু আসেনি।
অনেকে লাভের আশায় আধপাকা লিচু বাজারে বিক্রয় করছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার পানাম, পানাম গাবতলী, হাড়িয়া, যো পাড়া, দরপত, দিঘীরপাড়, হাতখোপা, কৃষ্ণপুর, বাড়িচিনিস, মোগরাপাড়াসহ প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক বাগানে দেশী পাতি লিচু, কদমি লিচু , বোম্বাই লিচুর আবাদ করা হয়েছে। লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।
প্রতি বছর এই সময়ে ২০ শতাংশ লিচু পাইকাররা কিনে নিয়ে যায় কিন্তু এবছর লিচু পাকা শুরু হতে আরো এক সপ্তাহ সময় লাগবে। দাম ভালো পাওয়া গেলে লাভের মুখ দেখতে পারবো। গত বছর করোনার কারণে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যোলপাড়া এলাকার আবু হানিফ মিয়া বেপারী জানান, ৬ লাখ টাকায় তিনটি বাগান কিনেছেন। বালুয়াদিঘীর পাড় এলাকার লিচু ব্যবসায়ী ওয়াসকুরুনী জানান, তিনি ১৮ বছর যাবৎ এ লিচু ব্যবসার সাথে জড়িত।
এবার ৫ টি বাগান কিনেছেন ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। ৬ বিঘার ৫ টি বাগানে ১৩০ টি কদমি জাতের লিচু গাছ রয়েছে। আ কদমি লিচু ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, এবার উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক বাগানে লিচুর আবাদ হয়েছে। ভালো ফলন হবে বলে আশাবাদী।
লিচু চাষিদের বাগান পরিচর্যায় মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা কাজ করছেন। ঋণ নিয়ে লিচুর বাগান কিনেছি কিন্তু লিচুর মুকুল অনুযায়ী ফলন হয়নি। এতো দিন লাভের স্বপ্ন দেখেছি। এখন লিচুর আশানুরুপ ফলন না হওয়ায় লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ফল বিক্রেতা সুমন মিয়া জানান, দেশী পাতি জাতের লিচু হাজার ১৪০০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ৩৫০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া কৃষি ও কৃষকদের বাঁচাতে সরকার বিশেষ প্রণোদনায় কৃষি ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি