১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ১১ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি| সকাল ১০:২৬| গ্রীষ্মকাল|
Title :
টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের শোক তারাকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত নোয়াখালীতে দুলাল মেম্বার হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল আসামী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার পূর্বধলায় ভূমি সেবা সপ্তাহ পালিত টাংগাইল জেলা আ’লীগের নেতার মৃত্যুতে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর শোক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগনকে দেখিয়ে পথসভা করছেন – এ আর খান আখির কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি পণ্য ডাল তৈল বিতরণ কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ইয়ামিন নামে ১ শিশুর মর্মান্তিক। ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী

জনপ্রতিনিধিদের বলে হয়নি সাঁকো

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি মোঃ আল আমিন
  • Update Time : বুধবার, অক্টোবর ২০, ২০২১,
  • 74 Time View

স্থানীয়দের চেষ্টায় নির্মাণাধীন সাঁকো। গত বৃহস্পতিবার সাদুল্লাপুরের দামোদরপুর ইউনিয়নে ঘাঘট নদে
স্থানীয়দের চেষ্টায় নির্মাণাধীন সাঁকো। গত বৃহস্পতিবার সাদুল্লাপুরের দামোদরপুর ইউনিয়নে ঘাঘট নদে ছবি: প্রথম আলো
এপারে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন। ওপারে একই উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন। মাঝে ঘাঘট নদ। ইউনিয়ন দুটির মধ্যে যোগাযোগের ভরসা একটি ছোট নৌকা। স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে নদের ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু করেন এলাকাবাসী। কিন্তু আর্থিক সংকটে সে কাজও এগোচ্ছে না।

গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে দামোদরপুর ইউনিয়নের চান্দের বাজার। বাজারের পাশেই ঘাঘট নদ। উভয় পাশে কাঁচা সড়ক। নৌকা ছাড়া এক ইউনিয়ন থেকে আরেক ইউনিয়নে যাতায়াতের কোনো উপায় নেই।

ছোট নৌকায় চার-পাঁচজনের বেশি যাত্রী নেওয়া যায় না। জনপ্রতি পাঁচ টাকায় লোক পারাপার করা হয়। মোটরসাইকেল ও রিকশা পারাপারের সুযোগ নেই। ফলে দুই ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নদ পারাপারে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

নদে সাঁকো নির্মাণের উদ্যোক্তা দামোদরপুর ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামের জেলাল প্রামাণিক (৪৫) বলেন, ‘ভোটের আগোত নেতারা আসি কয়, হামাক ভোটটা দ্যান। ভোটোত হলে বিরিজ বানে দেমো। ভোটোত জিতলে তামারঘরে দেকা পাওয়ান যায় না। তাই হামরা নিজেরা সাঁকো বানব্যার নাগচি।’

নদে এক মাস ধরে সাঁকো তৈরির কাজ চলছে। কেউ বাঁশ, কেউ গাছ, কাঠ, রশি, নগদ টাকা দিচ্ছেন। যাঁরা আর্থিক সহায়তা দিতে পারছেন না, তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন। এ জন্য গঠিত হয়েছে চান্দের বাজার সাঁকো বাস্তবায়ন কমিটি।

কমিটির সভাপতি ও দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছইম উদ্দিন বলেন, অনেকবার জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ইতিবাচক কিছু হয়নি। তাই নিজেরাই সাঁকো তৈরির উদ্যোগ নেন। বর্তমানে পাটাতন তৈরির কাজ চলছে। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। কাজ শেষ করতে আরও তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category