২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি| দুপুর ১:৫৩| শরৎকাল|
Title :
হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খোলা হলো রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের তালা মৌলভীবাজারে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা প্রদান ও নগদ অর্থ পুরস্কার  খাগড়াছড়িতে পিসিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের মতবিনিময় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী কিশোর নিহত ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বসতঘর পূর্বধলায় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ৭ জন ব্র্যাকের উদ্যোগে রামগড়ে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ  ও  স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

ত্রিশালে নেপথ্যে থাকা চক্রের টার্গেট মেয়র আনিছ

! নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : রবিবার, এপ্রিল ২৪, ২০২২,
  • 35 Time View

ময়মনসিংহের ত্রিশালে নেপথ্যে থেকে একটি চক্র পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছকে টার্গেট করে মিথ্যা অপপ্রচার ও একটি মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে। উপজেলা আওয়ামীলীগের কয়েক নেতা ও হঠাৎ শিল্লপতি বনে যাওয়া এ চক্ররা মুলহোতা ।
দুর্বৃত্তদের হাতে ২০১৮ সালের জুনে খুন হন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাস্টার। তার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে প্রভাবশালী একটি চক্র। অভিযোগ, মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাষ্টার । একটি আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মতিন মাস্টার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এলাকাবাসীর এই মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে ভালবাসতেন বলে, সহমর্মীতা আর সহানুভূতি দেখান তার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রতি । মামুন এই সহমর্মীতা আর সহানুভূতি পূঁজি করে উল্টো সাধারণ মানুষকেই হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনিও আর্থিক ও নানাভাবে লাভবান হতে নিজে অদৃশ্য থেকে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে
তিন বছরে ৩৩টি জিডি করেছেন । গত ১৫ এপ্রিল আবুল কালাম আজাদ নামে একজন খুন হন। এলাকাবাসী বলছে, হত্যা-নির্যাতনের নেপথ্যে রয়েছে জমি জবরদখল,মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার । এদিকে টানা তিন খুনের বিচার চেয়ে ও খুনের ঘটনায় জড়িত আসামি বিএনপি নেতা জিলানী, লাল মিয়া ও তাফাজ্জলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে বিশাল মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টারের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাকে সকল টাকা যোগান দেয় আওয়ামী লীগের একটি বিতর্কিত গ্রুপ। মানববন্ধন চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটা অংকের টাকাও দেওয়া হয়েছে এমন একটি অডিও সংরক্ষণ করা হয়েছে। মামুনের এহেন কর্মকান্ডে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে । স্থানীয় নিরীহ লোকদের ফাঁসাতে মামুন ও ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের উস্কানিতে ২০১৯ সালে হত্যা করেন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দফতরি রফিকুল ইসলামকে। আর আসামী করেন স্থানীয় নিরহ লোকজনকে। আবুল কালাম আজাদ খুনের ঘটনা নিয়েও মামুন,ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের রয়েছে ষড়যন্ত্র । এদের কারণে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বেড়েছেই চলছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও দুটি অভিযোগ থেকে জানাগেছে, মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাষ্টার খুনের মামলাটি বিচারাধীন আছে । আসামীদের কেউ আছেন কারাগারে কেউ জামিনে আছেন । পিতার হত্যার ঘটনায় স্থানীয়রা সহানুভূতি ও সহমর্মীতা দেখিয়ে মামুনের পাশে দাঁড়ান । কিন্তু হাফিজুর রহমান ও ত্রিশাল আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এটিকে সুযোগ আর ঢাল হিসাবে নেয় । টাকা পয়সা আদায় কিংম্বা রাজনৈতিকভাবে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে এলাকাবাসীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে থাকে । ধারাবাহিকতায় এসব খুনের ঘটনা ঘটছে । সামাজিক দ্বন্দ সংঘাত, অভ্যন্তরীণ কোন্দল , অপরাধমূলক কাজ বাড়তে থাকে । এটিকে ব্যবহার করেন মামুন । একে দিয়ে তাকে দিয়ে স্থানীয় নিরীহ নিরাপরাধ মানুষের নামে জিডি করান ত্রিশাল থানায় । থানা ও গোপন আস্তানায় বসে সকল ঘটনা সামাল দেন মামুন ।
মামুন বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক আছে এমন কথা বলে বেড়ান ।
সরকার দলীয় বড় নেতা,পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিভ্রান্ত করে ত্রিশাল থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে ফোন করান । এসব নিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেন ত্রিশাল থানা কার্যালয় ও আশেপাশে । ইতিমধ্যে ৩৩টি জিডি হয়েছে যা তিনিই ড্রিল করেন । একটি চক্র রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় ও সুবিধা নিতে ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালান । ত্রিশালে জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে আনিছুজ্জামান আনিছ ব্যাপক জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য । নিহত মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাষ্টারের পুত্র মামুনকে গুটি হিসাবে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ঐশ্রেণির কয়েক নেতা ষড়যন্ত্র শুরু করে । একটি মিডিয়ায় তার নামে অপপ্রচার হয় । যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন , বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত । তন্মধ্যে ধরা যাক, আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনা । এই হত্যাকান্ডকালে মেয়র আনিছ সৌদী আরবে গেছেন পবিত্র ওমরাহ হজ পালনে । এই হত্যাকান্ড নিয়ে মামুনের নেতৃেত্ব মানবন্ধান হয় স্থানীয়ভাবে । এরপর ২০ এপ্রিল ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলন করে যার নেপথ্যে থাকে মামুন । এসব ঘটনায় বিব্রত ক্ষোদ থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনও । অথচ নিহত আবুল কালাম আজাদের পরিবার একটি কথাও মেয়র আনিছকে নিয়ে বলেননি । মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। ২০ এপ্রিল মেয়র দেশে ফিরে একটি পত্রিকায় নিউজ দেখেন । এসব ঘটনায় মঠবাড়িয়া এমনকি গোটা ত্রিশালব্যাপী চক্রন্তকারী ও মামুনের কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ । তারা এহেন ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ খুবই ভাল এবং পরোপরাকরি এবং যোগ্য আওয়ামী লীগ নেতা । তার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক দক্ষতা ও গুণাবলী দেখেই এসব করছেন । বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিৎ ।
এ বিষয়ে মামুনের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category