দাকোপ উপজেলার ৭ং তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বারের বিরুদ্ধে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিটক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনাহার খাতুন।
এলাকা বাসি সূত্রে জানা যায়,দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনাহার খাতুন, পিং ফিরোজ আহম্মেদ,কাঁকড়া বুনিয়া দাকোপ খুলনা। নুরনাহারের বাবা দীর্ঘ দিন শারীরিক অসুস্থ হয়ে বিচানায় পড়ে আছেন। তার সুস্থতার জন্য বিভিন্ন এলাকায়ও মহল্লায় সাহায্যের জন্য বলা হয়। এ বিষয় ইউপি সদস্যকে পরিবারের পক্ষ থেকে জানালে।
ইউপি সদস্য জনাব হেলাল সানার নিকট দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনাহারের বাবা শারিরীক অসুস্থ ব্যক্তি ফিরোজ আহম্মেদের ছবি, আইডি কার্ডের ফটোকপি ও মোবাইল নম্বার ০১৯৯৪৭৪১৪৩০ সমাজ সেবায় জমা দেওয়ার জন্য নেন।
ইউপি সদস্য হেলাল সানা সমাজ সেবা অফিসে কাগজ পত্র জমাও দেন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনাহার বলেন, মেম্বার কাগজ পত্র জমা দেওয়ার, কয়েক মাস পর এলাকার লোকের মুখে খবর শুনি অফিস থেকে ভাতার টাকা ছেড়েছে।
এমন খবর পেয়ে, আমাদের মোবাইল নিয়ে বিকাশের দোকানে যাই।
দোকানদার মোবাইল দেখে বললেন কোন টাকা আসিনি।
আমি ততক্ষনিক ছুটে গেলাম মেম্বারের নিকট।
মেম্বারকে জিজ্ঞেসা করতেই তিনি রেগে উঠে বললেন,আমি বলে দিবো নাকি? সমাজ সেবা অফিসে গিয়ে খোজ নাও।
তার কিছু দিন পর ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনাব হযরত আলী সরদারকে সাথে করে দাকোপ উপজেলা সমাজসেবা অফিসে হাজির হন।
সমাজসেবা অফিসের এক কর্মকর্তার সহযোগিতায় খোজ খবর ও অনুসন্ধান করে দেখা যায়।
তার ঠিকানা সঠিক আছে। কিন্তুু, মোবাইল নম্বরটা সঠিক নেই।
সমাজসেবা অফিস থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন ৪৫০০ টাকা ০১৭২১২৭৬৭০৩ নম্বরে ডুকেছে।
পরে খোজ নেওয়া হয় নম্বরটি কার? মোবাইল নম্বরে কল বাজতেই মেম্বার হেলাল সানা ফোন ধরেন।
তাকে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,
আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি না।আর আমার মোবাইলে কোন টাকা আসিনি।
মেম্বারের এমন বক্তব্যে সমাজসেবা অফিস বলছে, উক্ত নম্বরে টাকা অবশ্যই গিয়েছে।
ইউপি সদস্য জনাব হেলাল সানার ব্যবহারিত মোবাইল নম্বর সহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনাহার খাতুন।
আজ বৃহস্পতিবার দাকোপ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস মেম্বারকে ডাকেন। এবং প্রাথমিক ভাবে মৌখিক জিজ্ঞেসা করেন।
পরে তিন জনের তদন্ত কমিটি গঠন করে ,সত্য বের করার আদেশ দেন।
জানা যায়,এ কমিটিতে তদন্তের জন্য যে তিন জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা তিন জনই সরকারী কর্মকর্তা। তারা হচ্ছেন, দাকোপ উপজেলার মৎষ অফিসার, সমাজসেবা অফিসার,ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর অফিসার। সচেতন মহল দাকোপ বাসি আসা করছে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে গরীব অসহায় পরিবার টাকা যেন ফিরে পান। এবং দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি সকলের।