২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ৯:৫০| হেমন্তকাল|

গজারিয়ায় নদী ভাঙ্গান রক্ষায় মানববন্ধন ওসমান গনি

গজারিয়া প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : সোমবার, এপ্রিল ১৮, ২০২২,
  • 11 Time View

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা মেঘনা নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় মানববন্ধন হয়েছে। উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন হোসেন্দী গ্রামের শত শত মানুষ এ সময় সরজমিনে দেখা যায় নদীপাড়ের মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।

হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে মেঘনার শাখা নদীর ভয়ানক থাবায় বিলিন হয়ে যাচ্ছে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের বাপ-দাদার ভিটেমাটি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী নিজ অর্থায়নে বারবার নিজেদের ভিটামাটি রক্ষার চেষ্টা করেও, মেঘনার ভয়ানক থাবার কাছে তারা নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষা করতে ব্যর্থ । সরেজমিন পরিদর্শনে ভুক্তভোগী হোসেন্দী এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এলাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত মেঘনার শাখা নদীর পাশে গড়ে উঠা আশ্রব্দী গ্রামটি ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এ মানববন্ধনে অংশ গ্রাহন ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবারের মানুষ

মানববন্ধনকারী ভুক্তভোগী সাথে কথা বলে জানা যায় শুষ্ক ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে ভাঙতে থাকে মেঘনার এই শাখা নদীটির তীরবর্তী এলাকা হোসেন্দী। অনেক দিন যাবৎ প্রশাসনের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছ থেকে কোন রকম সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন তারা নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের কাছে আবারো জোর দাবি জানাচ্ছে যেন খুব দ্রুত গজারিয়ায় হোসেন্দী গ্রামের আশ্রাব্দীতে সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে মেঘনা নদীর ভয়ানক ভাঙ্গন এর হাত থেকে তাদের ভিটামাটি রক্ষা করবে।

এ মানববন্ধনের মাধ্যমে তারা আরো দাবি করেন আপাতত নদীর এক পাশ অর্থাৎ চরের পাশে ড্রেজিং করে ওই পাশে নদী গভীর করে চর থেকে বালিটা গ্রামের তীরে ভরট করে দিলে এবং নদীর স্রোতধারার গতিপথটি যদি ঐ পাশ দিয়ে প্রবাহিত করা যায় তাহলে আপাতত গ্রামটি ভাঙ্গন কিছুটা রোধ হবে।
ভুক্তভোগী মোঃ জামাল মিয়া জানান আমি ৪ বছর যাবত ১১ শতাংশ জমিটার জায়গাটা ভরাট করে বাড়ি তৈরী করি কিন্তুু এ ভয়ংকর ভাঙ্গনের কারনে এখন বাড়িটার ১১ শতাংশের যায়গায় ৬ শতাংশই নাই। আমি প্রশাসনের কাছে যোর দাবি করতে চাই আমাদের হোসেন্দী আশ্রাব্দী নদী ভাঙ্গান টার দিকে একটু নজর দেন দয়া করে যাতে আমার মতো আর কাউ কে যেন বিটা বাড়ি টা হারাতে না হয়। আমার মতো গরিব মানুষ গুলোকে একটু বাঁচান। এ বিষয়ে শাহাবুদ্দিন জানান প্রশাসনকে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি একটি বড় প্রকল্প যা উপজেলা প্রশাসন থেকে কাজ করা সম্ভব নয় আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কে উপজেলা প্রশাসন থেকে পত্র পাঠিয়েছি। এবং আর একটি দাবি উঠেছে এসেছে নদীর গতিপথ পাল্টানোর জন্য ড্রেজিং করে নদীর ওই পাশের বালিটি অর্থাৎ চরের পাশের বালিটি গ্রামের পাশে ফেলে নদী ওইপাশে গভীর করে নদীর গতিপথ পাল্টিয়ে যেন ভাঙ্গনরোধ করার জন্য কিছুটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ওই দাবিটি আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category