ব্যবসায়ী জাকির মিয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলনা পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
সোনারগাঁ পরিবহন ব্যবসায়ী জাকির মিয়া নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁয় একজন সৎ সাহসী ও আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল। আচার আচরণে মুগ্ধ পরিবার ও সমাজের মানুষ। ব্যক্তি হিসেবে জনপ্রিয় বললেই চলে। একজন সফল ও সাবলম্বী ব্যবসায়ী হলেও সুচিকিৎসার অভাবে ধূকে ধূকে প্রাণ হারাতে হয় অকালে। তার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা তার স্বজনরা। এটা কী স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড প্রশ্ন স্বজনদের।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ , সোনারগাঁ মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাড়ি চিনিষ গ্রামের মরহুম চান মিয়া ব্যাপারির বড় ছেলে মরহুম জাকির হোসেন (৪৫) দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন, বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিলে ও অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া বা অন্য কোন দেশে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু তার স্ত্রী ইতি বেগম (৩০) তার স্বজনদের ভুল তথ্য দিয়ে চিকিৎসা স্থগিত রাখে, যখনই তার পরিবারের সদস্যরা তাঁর শারীরিক অবস্থা জানতে চায় নানারকম তালবাহানা দিয়ে সে সুস্থ আছে বলে সকলকে বলে তাড়িয়ে দেয়। অথচ সে তখনও গুরুতর অসুস্থতায় দিন কাটাচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য কখনো তার ভাই-বোন বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে নিয়ে যেত না। চিকিৎসার ডাক্তারি রিপোর্ট তার নিজের কাছে গোপন করে রাখত, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কখনো মৃতের পরিবারের সাথে পরামর্শ করত না যখনই তার পরিবার তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইত তিনি সুস্থ আছে ও ভালো আছে বলে শারীরিক অবস্থার উন্নতি বলে সবাইকে সান্ত্বনা দিয়ে তাড়িয়ে দিত। অথচ সে মৃত্যু সজ্জায় সজ্জিত যেকোনো সময় সে সুচিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করতে পারে তা জানা সত্ত্বেও তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন পদক্ষেপ নিত না এবং কাউকে জানাত না। কেন তার শারীরিক অবস্থা অবনতির বিষয়ে গোপন করে রাখতো তার কারণ আজও অজানা।
গত ১১ জুলাই ২০১৭ রাত আনুমানিক রাত তিনটার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে জরুরী ভিত্তিতে হসপিটালে ভর্তি না করে বাড়িতে রেখে দেয়। পরদিন সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে মৃত জাকির হোসেনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার শাশুড়ি খোরশেদা বেগম (৭০) ও তার স্ত্রীর বড় ভাই রিপন মিয়া (৫০) নুডুস ও নানা রকম খাবার খাওয়ানোর পর থেকে তার প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। তখনই তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ সেবা হসপিটালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেলের কাছাকাছি পৌঁছালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মেডিকেলের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের কৌতূহল কি এমন খাবার ছিল যার দরুন সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। কেনই বা তার স্ত্রী তার শাশুড়ি ও সমন্ধি তার শারীরিক অবনতির বিষয় গোপন করত । যখনই তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হলো তার সম্বন্ধী রিপন মিয়া মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। একজন সফল ব্যবসায়ী স্বাবলম্বী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বে ও সুচিকিৎসার অভাবে দুকেদুকে দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন। তার পরিবারের দাবি আমার বড় ভাই জাকির হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে তার অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য থাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তার ই স্ত্রী ইতি বেগম, শাশুড়ি খোরশেদা বেগম, তার সম্বন্ধী রিপন মিয়া। স্বজনদের দাবি তার মৃত্যু কারণ উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।