যশোরের কেশবপুর পৌরসভার বায়সা গ্রামের দোকান শ্রমিক হত দরিদ্র রফিকুল ইসলাম মায়ার মেয়ে ইমামা ইসলাম ইমা এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আর্থিক সংকটে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার। মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার অসহায় বাবা-মা।ইমামা ইসলাম ইমা সাতবোন আর এক ভাই। ভাইবোনের মধ্যে ইমামা ইসলাম ইমা সকলের বড়। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় খুব আগ্রহী ছিলো ইমা। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং এসএসসি ও এইচএসসিতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন জিপিএ-৫।খুলনা সরকারি মডেল কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ইমা। এদিকে অর্থের অভাবে মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি করা নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন হত দরিদ্র রফিকুল ইসলাম মায়া। তিনি বলেন, আমি গরিব মানুষ। আমার সাতটি মেয়ে ও একটা ছেলে। খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমার মেয়ে বড় হয়েছে। কখনো খাবার জুটেছে, কখনো জোটেনি। আমি কেশবপুর শহরের চায়না মেশিনারিজে শ্রমিকের কাজ করি। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যেও সন্তানের পড়ালেখার উৎসাহ দিয়েছি। আমি বহু কষ্ট করে তাকে পড়িয়েছি। আমার শুধুমাত্র মাথাগোঁজার ঠাঁই হিসেবে একটি টিনসেটের জারাজীর্ণ বাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই।তিনি বলেন, আলাহর রহমতে আমার মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। কিন্তু তাকে ভর্তি করার মতো টাকা-পয়সা আমাদের নেই। আমি চিন্তা করে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না, কীভাবে মেয়েকে ভর্তি করাব? কীভাবে বই কিনে দিব? কীভাবে খরচ চালাব? সাহায্যের জন্য আমি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিত্তবানদের কাছে আবেদন করছি। আপনারা সবাই আমার মেয়ের জন্য সাহায্য করুন। আল্লাহ যদি রহমত করে, তাহলে আমার মেয়ে দেশের মানুষের সেবা করবে। আপনারা যদি সাহায্য করেন তাহলে মেয়েটাকে ডাক্তারি পড়াতে পারব। তা না হলে আমার কোনো ক্ষমতা নেই তাকে পড়ানোর। হত দরিদ্র রফিকুল ইসলাম মায়া তার মেয়ে ইমামা ইসলাম ইমাকে মেডিকেলে পড়ানোর জন্য সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছেন।