“মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সহয়াক হিসেবে সুবর্ণচরে পুলিশের ঘর পেলেন অসহায় সখিনা। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের নোয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে বসতঘর পাচ্ছে জেলার আরো ৯টি হতদরিদ্র পরিবার। এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার জানান, ৯ টি থানায় ৯ টি হতদরিদ্র পরিবারকে সুদৃশ্য গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সহয়াক হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ সারাদেশে প্রতিটি থানায় একটি করে হতদরিদ্র পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক থানায় একটি হতদরিদ্র পরিবারকে ন্যূনতম এক কাঠা জমি ক্রয় করে আনুমানিক ৪১৫ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেট বিশিষ্ট একটি গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার কাজ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের অসহায় গৃহহীন সখিনা খাতুনকে একটি ঘর নির্মান করে দেয়া হয়। সখিনা খাতুনের স্বামী নিখোঁজ এক মেয়ে কলেজে অধ্যায়নরত আরেক ছেলে অসুস্থ্য হতদরিদ্র সহায়সম্পত্তিহহীন সখিনা মেয়ের লেখা পড়ার খরচ ছেলের চিকিৎসা খরচ চালাতে পারেনা। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম জিবিকা নির্বাহ করে। সবদিক বিবেচনা করে তাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়।
নতুন ঘর পেয়ে আবেগঅপ্লুত সখিনা খাতুন বলেন, স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। তবে পেটের কষ্টের চেয়ে ঘরের কষ্ট ছিল অনেক বড়! কারণ ঝড় বৃষ্টিতে দুই-সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছিল। পুলিশ আমাদের জন্য যা করল সেটা কোনোদিন ভুলার নয়। একসময় এলাকায় পুলিশ এলে খুব ভয় লাগত। ভয়ে ঘর থেকে বের হতাম না। আজ সেই পুলিশই আমাদের ঘর করে দিল। আমার পরিবারকে চির ঋণী করে দিল পুলিশ সদস্যরা। আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন।
পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম পিপিএম বলেন, বর্তমানে প্রকল্পের ঘরগুলি হস্তান্তরের অপেক্ষায় আছে। আগামী ১০ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর উপকারভোগীদের নিকট ঘরগুলি জমিসহ হস্তান্তর করা হবে।