১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| বিকাল ৩:৫৯| হেমন্তকাল|
Title :
পূর্বধলায় ক্বওমী আলেমদের নিয়ে ইউএনও’র মতবিনিময় জাগরণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে র‍্যালি অনুষ্ঠিত ভূরুঙ্গামারীতে ব্র্যাকের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গণনাটক প্রদর্শনী ৪৮ বছর পর অপারেশন থিয়েটার চালু পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন আয়োজনে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত দিবস পালিত গাইবান্ধার সাঘাটায় জেলা তথ্য অফিসের উঠোন বৈঠক। বরাবরের মত এবারও সোমেশ্বরী নদীর উপর নির্মাণ করা হলো নান্দনিক অস্থায়ী কাঠের সেতু। গাইবান্ধায় BSCF ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও শীতবস্ত্র বিতরণ । নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মতিয়ার রহমান মতি‌’র মৃত্যুতে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু’র শোক সব ভেদাভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান- এডভোকেট শামছুর রহমান (ভিপি লিটন)

সেনবাগে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজে দুর্নীতির অভিযোগ

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : মঙ্গলবার, এপ্রিল ৫, ২০২২,
  • 51 Time View

নোয়াখালীর সেনবাগের দক্ষিণ শ্রীপদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে তদারকি প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারের যোগসাজশে লাগাম ছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,পিইডিপি-৪ প্রাইমারি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ শ্রীপদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আনুমানিক ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ও সেনবাগ উপজেলা (এলজিইডি) তত্বাবধানে পরিচালিত ওই প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স রনি ব্রাদাস নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ শ্রীপদ্দী সরকারি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শেখ আহমদ অভিযোগ করে বলেন,নিম্ন মানের ইট, বালি,কনা,পাথর ও সস্তা দামের রড দিয়ে কাজ শুরু করলেও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী কার্যকর কোন বাধা দেননি। এ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলছে প্রায় এক বছর ধরে। বর্তমানে এ প্রকল্প কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। কিন্তু ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট ফাটল দেখা দেয়। ঠিকাদারের লোকজন রং দিয়ে এসব ফাটল ঢেকে দিচ্ছে। এ অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য স্থানীয় এলকাবাসী দুষছেন, এলজিইডির সেনবাগ উপজেলা প্রকৌশলী মো.শাহিনুর আলমের ভূমিকাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তদারকি প্রতিষ্ঠানের উপজেলা প্রকৌশলী ও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ছত্রছাছায়ায় শিডিউল অমান্য করে বেজায় নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ পায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ভবনের জানালা গুলোও মানসম্পন্ন দেওয়া হয়নি। নির্মাণ ক্ষেত্রে দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন হয়েছে পদে পদে? সেনবাগ উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশনায় ও মাঠ পর্যায়ে এ কাজের তদারকি করছে একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী। অভিযোগ রয়েছে,অভিযোগের পরও বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তদারকি করতে দেখা যায় নি । এ সুযোগকের ষোল আনাই কাজে লাগিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায় ঠিকাদার। এ অনিয়ম রোধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও কার্যকর সঠিক তদারকি ছিলনা। দক্ষিণ শ্রীপদ্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.শেখ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, পাইলিং করার সময় পাইলিংয়ের মাথায় স্টিলের প্লেট ব্যবহার করা হয়নি। পাইলিং করার সময় প্রতিটি পিলার ৪ থেকে ৫ফিট ভেঙ্গে যায়। ভবনে সঠিক ভাবে ওয়াটার কিউরও দেয়া হয়নি। আমরা পানি দিতে চাইলে তারা আমাদেরকে বাধা দেয় । প্রধান শিক্ষক শেখ আহমদ অভিযোগ করে আরও বলেন, ঢালাইয়ের সাথে লোকাল বালু ও এবং শীতলপুরি বাংলা রড,সিমেন্ট ব্যবহার করে। প্লাষ্টার নিম্নমানের করা হয়। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে গাথুনি, দেয়ালসহ পুরো ভবনের কাজ করা হয়। বিল্ডিংয়ের ফ্লোর এবং সিঁড়ির পিনিসিং নেই। শ্রেণি কক্ষের পার্টিশান দেয়াল গুলোর ছাদ বিমের নিচে জয়েন্ট গুলোতে ফাটল ধরেছে। বিভিন্ন দেয়ালে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিলে সিলালের সাথে চক পাউডার দিয়ে রংয়ের কাজ চালায় ঠিকাদারের লোকজন। এতে আমরা বাধা দিলে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় তদারকি প্রতিষ্ঠান। জানালার সানসেটের প্লাষ্টার গুলো ফেটে গেছে। ছাদ ঢালাইয়ে বড় সাইজের নিম্নমানের কনা ও তিন নম্বর পাথর স্টোন ব্যবহার করা হয়। সর্বশেষ ভবনে নিম্নমানের রংয়ের কাজ শুরু করা হয়। বিদ্যালয় নির্মাণে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কথা একাধিকবার উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কার্যকর কোন প্রতিকার মেলেনি। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রনি ব্রাসার্সের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম লিটন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন নিম্নমানের কাজ করা হয়নি। কোনো অভিযোগ থাকলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অভিযোগ করতে বলেন।এ বিষয়ে সেনবাগ উপজেলা প্রকৌশলী মো.শাহিনুর আলম বলেন,এ প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে আনুমানিক ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ঠিকাদার এখনো কাজ করছে। ঊনিতো কাজ শেষ করে যায়নি। এরপরে ক্রটি থাকলে ঠিক করে দেওয়ার সুযোগ আছে। তিনি আরও বলেন, ইট নোয়াখালী এলাকায় যে রকম পাওয়া যায়। সে রকম ভালো আরকি,সে রকমই আছে। নোয়াখালী এলাকার ইট অন্য এলাকার ইটের চেয়ে কোয়ালিটি একটু কম থাকে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের যোগসাজশে নিম্নমানের কাজ হয়না। এটা ভুল ধারণা। ঠিকাদার কাজ করে আমরা দেখা শুনা করি। আমার অনেক জায়গায় এক সাথে কাজ চলে সব জায়গায় আমরা যেতে পারিনা। হয়তোবা এ ফাঁকে ঠিকাদার খারাপ কাজ করলেও খবর পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। প্রকৌশলী মো.শাহিনুর আলম বলেন, সেনবাগ অভিযোগের জায়গা।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এক মিটিংয়ে বলছে এ এলাকায় এত কম্পেলেন। সেও কোনো এক সময় এখানে চাকরি করে গেছে। সেও এক মিটিংয়ে বলছে এটা রেকর্ড করা। সেনবাগ এটা অভিযোগের জায়গা। এ বিষয় গুলো আমরা কানেই নেয়না। মানুষের অভিযোগ আমি বিশ্বাস করিনা। আমার সাথে আসতে হলে চ্যালেঞ্জে আসতে হবে। সেনবাগ,নোয়াখালী এলাকার অধিকাংশ লোকজন মিথ্যা অভিযোগ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category