১৯৫৬ সালে বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্য খাতে দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি’। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ৬৪ জেলায় কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তামাকজাত দ্রব্য সেবন ডায়বেটিসসহ অনেকগুলো অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তামাক নির্মূলে সচেতনতামূলক কাজ করবে ‘বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি’।
গত ৩০ মার্চ ২০২২ বুধবার দুপুরে বারডেম হাসপাতালে বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান এর সাথে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর একটি প্রতিনিধি দলের সাথে স্বাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। মানস এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মানস এর তামাক নিয়ন্ত্রন প্রকল্প সমন্বয়কারী সালমা পারভীন ও প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান।খবর বাপসনিউজ।
প্রতিনিধি দলের পক্ষে বলা হয়, দেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠির মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ মানুষ তামাক সেবন করে। তামাকজনিত কারণে দেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজরের অধিক মানুষ মারা যায়। ২০১৮ সালে চিকিৎসা খাতে খরচ হয় ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এসডিজি বাস্তবায়নেও বড় প্রতিবন্ধকতা ‘তামাক’। তামাকজনিত অকালমৃত্যু এবং রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব কমানো এবং তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে দেশে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ প্রণীত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ দেখতে চান মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, আমাদের আগামী প্রজন্ম তামাকের মাধ্যমে মাদকাসক্ত হচ্ছে। সুতরাং, তাদের সুরক্ষার স্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসা উচিৎ। গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিও তামাকের বিরুদ্ধে কাজ করবে। তামাক চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করছে তামাক কোম্পানিগুলো। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি আর দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব, টোব্যাকো কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিৎ। এতে সরকারের ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।