বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, ‘আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। কাজেই এ দেশ নিয়ে কিংবা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কোনো খেলা খেলতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী উপলক্ষে ২৬ মার্চ ২০২২ রাতে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মন্ত্রিসভা কমিটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আর কেউ কোনো খেলা খেলতে পারবে না। মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ কখনো ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, ইনশাল্লাহ সেভাবেই এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রূপকল্প-২০২১ নির্ধারণ করে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ে তোলার যে ঘোষণা দিয়েছিল, সে অনুযায়ী আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজ শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার মাধ্যমে সব ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালানোর মাধ্যমে আমরা আলোর পথে যাত্রা করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১-এর বাংলাদেশ কেমন হবে সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করে দিয়ে গেছি এবং পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। একশ বছরের জন্য ডেল্টা প্ল্যান করে তার কিছু কিছু আমরা বাস্তবায়ন করে দিয়ে যাচ্ছি। যাতে এই ব-দ্বীপ অঞ্চলের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর এবং উন্নত জীবন পেতে পারে।’
সবার জন্য অন্তত একটি ঘর করে দেওয়ায় তার সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদেশে একটি মানুষও আর ভূমিহীন বা গৃহহীন থাকবে না এবং ইনশাল্লাহ সেটা আমরা নিশ্চিত করব। এ পথে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং এভাবেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট করেছি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে যাচ্ছি, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। বাংলাদেশকে আর কখনো যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে।’
‘এই বিশাল কর্মযজ্ঞের একটাই উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। শিক্ষায়-দীক্ষায়, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তি জ্ঞানে সববিক থেকে যেন আমরা এগিয়ে থাকতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার ৯ মাসের মাথায় যে সংবিধান দিয়েছিলেন তাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং এগিয়ে যাচ্ছি।’