হোসেন,২৫/৩/২০২২ বারদী নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার নব গঠিত এডহক কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ কারীকেসহ দু’জনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল (২৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটির সামনেই মারধর করা হয়েছে। মারধরের পর তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তের কাজ না করেই ফেরত আসে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলার বারদী নেছারিয়া আলিম মাদ্রাসার নব গঠিত এডহক কমিটির বিরুদ্ধে ১৬ ই জানুয়ারী গভণিংবডির সাবেক সদস্য মনির হোসেন অভিযোগ দায়ের করেন। আয়েশা নামের এক মহিলা অনিয়ম করে পরিচয় গোপন করে কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ওই মহিলার কোন সন্তান নেই। তার ভাগিনা মো. বিনয়কে তার সন্তান দাবি করে মাদ্রসার নির্বাচনে অভিভাবক হয়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
পরবর্তীতে জানা যায়, আয়েশার কোন সন্তান নেই। তিনি তার ভাগিনাকে তার সম্তান দাবি করে মায়ের নামের মধ্যে আয়েশার নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এছাড়াও এ ভোটার তালিকায় আরো ৫জন ভোটার ভূয়া রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ১৬ জানুয়ারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল (২৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্ত যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রধান ও ইনষ্ট্রাক্টর কাজল চন্দ্র পাল।
এক পর্যায়ে তদন্ত কমিটির সামনেই এডহক কমিটির সভাপতি শাহজাহান সরকার, শরীফ সরকার, সোহেল সরকার, জিসান সরকারসহ ১০-১৫জনের একটি দল অভিযোগকারী মনির হোসেন ও তার ভাইকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে তাদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার মধ্যেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত না করেই ফিরে আসেন। খবর পেয়ে বারদী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত মনির হোসেন বলেন, কমিটিতে তাদের লোকজন রাখার জন্য কৌশল অবলম্বন করে ভোটার নয় এমন লোকজন রেখেছেন। তদন্তে প্রমাণ হবে বলে তাদের সামনে আমাদের দুই ভাইকে মারধর করেন। বারদী ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইউনুস মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রধান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ফিরে এসেছি।