২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ| ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ| ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি| সকাল ৮:৫৯| হেমন্তকাল|

প্রবাসী রফিয়া খাতুন দিতে হবে ২০ লাখ টাকা। না দিলে তার মেয়ে শারমিন আক্তার মুন্নীকে দিয়ে করাবে দেহ ব্যবসা।ও ২ ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : শুক্রবার, মার্চ ২৫, ২০২২,
  • 159 Time View

হবিগঞ্জ জেলার। মাধবপুর উপজেলার, ২ নং চৌমুহনী ইউনিয়ন-আলাবক্সপুর গ্রামের মেয়ে প্রবাসী রফিয়া খাতুন।

বাবা আবদুল জাহের, আর মা নিলু বানুর অভাবের সংসারে জন্মনেন রাফিয়া খাতুন।অভাব অনটন নিয়ে রফিয়া বড় হতে থাকে। মাএ ১২ বছরের সময় ২ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা বলে বিয়ে দিয়ে দেয় তার বাবা।রফিয়াকে স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর করে। মাস, দিন, বছর,পেরিয়ে সময় তার আপন গতিতে চলছে,এভাবে বছরের পর বছরের আগমন ঘটে । রফিয়া খাতুন ও জন্ম দেন ১ মেয়ে ২ ছেলে স্বামী আবার শুরু করে পাগলামি, পাগলামি আর যৌতুক এর জন্য স্বামী রফিয়াকে ছেড়ে চলে যায়।৩ টি মাসুম বাচ্চা কে নিয়ে রফিয়া ঠাঁই নেন বাবার বাড়ি। এখানে সে শান্তি খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন এনজিও বাসা বাড়িতে কাজ নেন।জমানো কিছু টাকা আর ঋন করে সৌদি আরবে চলে যান। ১ মেয়ে ২ ছেলেকে রেখে যান রফিয়া খাতুন। বাবা-মায়ের কাছে। প্রবাসে শত কষ্ট আর যন্ত্রণা নিয়ে কাজ করেন রফিয়া খাতুন। নিজের কষ্টের সব টাকাই পাঠানো হয় বাবা-মা এর কাছে।,তার টাকা দিয়ে চলে নিজ ছেলে মেয়ে ভাই বোন আত্মীয় স্বজন।বাড়িতে ঘর করার জন্য ৫ লাখ টাকা পাঠান। ইতিমধ্যে রফিয়া খাতুনের বাবা আবদুল জাহের। জুয়া চুরি ডাকাতি আরম্ভ করেন। পুলিশের হাতে বন্দী হন। খবর যায় রফিয়ার কাছে পুলিশের সাথে কথা বলে রফিয়া অনেক টাকা ব্যয় করে। তার বাবা আবদুল জাহের কে জামিনে মুক্তি করে আনেন। এর কিছু দিন পর, সৌদিআরব মালিকের শারীরিক নির্যাতনের কারনে রফিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিনের মাথায় সৌদি আরব থেকে রফিয়া খাতুনকে বাংলাদেশ এ পাঠিয়ে দেন। বাংলাদেশে এসে রফিয়া যখন যে কাজ পেয়ে থাকেন সে কাজেই শুরু করেন।এরি মধ্যে আবার সুযোগ হয় আরব আমিরাতে যাওয়ার। ডুবাই গিয়ে এক দালালের খপ্পরে পড়ে যেখানে বহু কাহিনী ঘঠে। এত কষ্ট যন্ত্রণা ঘৃণা হতাশা নিয়ে ও, পরিবারের সবগুলো প্রিয় মুখের কথা চিন্তা করে টাকা রোজগার শুরু করেন, হঠাৎ একদিন রফিয়া পুলিশের হাত ধরা পড়ে পুলিশ রফিয়া কে বাংলাদেশে আবার প্রেরণ করে।নিজের সব কিছুর বিনিময়ে রফিয়া যে টাকা আয় করে ছিল নিজের কাছে ১ টাকা ও রাখেনি।রফিয়া বাংলাদেশে আসলে তার বাবা মা তাকে দেখেও না দেখার অভিনয় করে।
এক বুক অবহেলা আর হতাশা নিয়ে আবার পাড়ি দেন ওমান।।
আবার শুরু হয় আরবদের নোংরামী, মারধর শারীরিক মানসিক নির্যাতেনর মধ্যে কাটে তার দিন গুলো। এর পরে ও মাসে মাসে, ভাই-বোন, ভাতিজা ভাতিজি, আত্মীয় স্বজন নিজের ছেলে মেয়ের সুখের জন্যই বাংলাদেশে ২০,০০০/টাকা করে পাঠান।রফিয়া খাতুন যেনো টাকার মিশিন বাবা মা আত্মীয় স্বজন ভাই বোন সবার লোভ হয়, দিন দিন তাদের চাহিদা বেড়ে যায় সেই অনুযায়ী রফিয়া খাতুন টাকা দিতে ব্যর্থ হন।এতে করে ও রফিয়া খাতুনের পরিবার রফিয়া খাতুনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্লান তৈরি করে,, এবং রফিয়া খাতুনের দুর্বল যায়গা খুঁজে নেন, তার ১ মেয়ে ২ ছেলে। রফিয়া খাতুনের বাবা ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল জাহের , ভাই ইউনুস,, ছোট বোন হালিমা +হালিমার প্রেমিক। রফিয়া খাতুনের কাছে দাবি করে ২০ লাখ টাকা। শুরু করে রফিয়া খাতুনের ছেলে মেয়ে কে প্রতিদিন মারধর। এবং রফিয়া খাতুনের মা লিল বানু। বাবা আবদুল জাহের, ভাই ইউনুস বোন হালিমা ও হালিমার প্রেমিক রফিয়া খাতুন কে মোবাইল করে বলেন। ১ মাসের মধ্যে ২০ লাখ টাকা না দিলে। রফিয়া খাতুনের মেয়ে, শারমিন আক্তার মুন্নী -১৬ কে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাবে এবং দালালদের হাতে তুলে দিবে।আর ২ ছেলে কে মেরে লাশ ঘুম করে পেলবে।।
রফিয়া খাতুন প্রশাসনের উদ্যোগে এর সমাধান চাচ্ছেন। এবং প্রশাসনের কাছে মিনতি অনুরোধ জানাচ্ছেন যেন প্রশাসন জড়িত দের কে দ্রুত গ্রেফতার করেন, এবং তার ১ মেয়ে ২ ছেলে যেনো নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। সুস্থ থাকেন।
রফিয়া খাতুনের ১ মেয়ে ২ ছেলে যেনো শান্তি আনন্দ খুঁজে পায়।
এবং রফিয়া খাতুন মাধবপুর উপজেলার সকল মানুষের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। প্রশাসনের হেল্প করলে ৩ টি জীবন বাঁচবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category