নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জাহারা আক্তার জেনি (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে জেনির বাবার দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেনির স্বামী মো. কামরুল হাসান বাপ্পীকে (৩৩) আটক করেছে পুলিশ।
মৃত জেনির বাবা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘দুবছর আগে সোনাইমুড়ী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে কামরুল হাসান বাপ্পীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে জেনির বিয়ে হয়। বিয়ের ছয়মাস পর পোল্যান্ড গিয়ে কয়েকমাস আগে দেশে ফিরে আসেন বাপ্পী। আগ থেকে সবকিছু ঠিক থাকায় এবার পোল্যান্ড যাওয়ার সময় জেনিকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেনির বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে বাধা দেয় বাপ্পীর বোন ও মাসহ তাদের পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জেনির সঙ্গে বাপ্পী ও তার পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া চলে আসছিল।’
জেনির বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে জেনির কোনো সন্তান হয়নি। তুচ্ছ ঘটনায় একাধিকবার বাপ্পী ও তার পরিবারের লোকজন জেনিকে মারধর করেছে। সবশেষ বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও জেনিকে নির্যাতন করে তারা। মঙ্গলবার সকালের কোনো এক সময় তাকে মারধর করে হত্যার পর ঘরের একটি ফ্যানের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।’
মোহাম্মদ আলম আরও বলেন, ‘পুলিশ জেনির মরদেহ উদ্ধারের সময় ফ্যানের সঙ্গে তার গলায় কাপড় পেঁচানো থাকলেও পায়ের বেশিরভাগ অংশ খাটের ওপর ছিল। এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় তিনি হত্যা মামলা করবো।’
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।