সবধরনের সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। আজ রোববার, ২০ মাচ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ
দাম কমল সব ধরনের সয়াবিন তেলের,
এর আগে সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা কমানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা। অপরদিকে, বোতলজাত ৫ লিটার তেলের দাম ৩৫ টাকা কমিয়ে ৭৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেলে কমানো হয়েছে লিটারে ৭ টাকা। এতে নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১৩৬ টাকা।
বাজারে বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৮ টাকা, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৭৯৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষবাণিজ্য সচিব এদিন জানিয়েছেন, সোমবার, ২১ মার্চ অর্থাৎ আজ থেকে মিলগেটে নতুন মূল্য কার্যকর হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে নতুন দাম কার্যকর হতে আরো ৫ থেকে ৬ দিন সময় লাগতে পারে।তিনি বলেন, নতুন করে নির্ধারিত দাম পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ বিষয়ে রিফাইনারির সবাই আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আবার মে মাসে বসবো আমরা। তখন আন্তর্জাতিক বাজার দেখে এক মাসের গড় নিয়ে নতুন করে মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হবে।পাম তেলের বিষয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, আমাদের আরো কিছু তথ্য ও হিসাব নিকাশের প্রয়োজন আছে। পাম তেল আসে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে। সেখান থেকে তেল আসতে কম সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্ধিত দামের তেল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বাজারে চলে এসেছে। কীভাবে সেটা সমন্বয় করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিয়েছেন রিফাইনারি সমিতি এবং অন্যান্য প্রতিনিধি। পাম তেলের বিষয়টি নিয়ে আগামী ২২ মার্চ বসে দাম নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।বাজারে পর্যাপ্ত তেল পাওয়া যাচ্ছে দাবি করে বাণিজ্য সচিব বলেন, তেলের দামের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তদারকির ব্যবস্থা থাকবে। রমজান উপলক্ষে তদারকি আরো বাড়িয়েছি আমরা। এখন থেকে উৎপাদকরা ভ্যাটের চালানের পাশাপাশি সাপ্লাই অর্ডারে তেলের দাম লিখে দেবেন।তপন কান্তি ঘোষ দাবি করেন, বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে সয়াবিন ও পামওয়েল আছে। সুতরাং ঈদ পর্যন্ত তেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি স্বীকার করে টিকে গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মো. মোস্তফা হায়দার এদিন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে পর্যাপ্ত তেলের মজুত আছে। আশা করছি, ঈদ পর্যন্ত কোনো ঘাটতি হবে না।