ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১০নং কাষ্টভাঙা ইউপির নিত্যনান্দি গ্রামের মোঃ রওশন আলী( ৪৫)পিতা মৃত হযরত আলী ২০০১ সালে রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়ে শরীরে শত শত ক্ষত নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তৎকালীন ক্ষমতাই চার দলীয় জোট সরকার আসার পর পর লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা দিতে গিয়ে কেঁদে ওঠেন।বলেন ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকারের ক্ষমতায় আসার ১ মাস পর রোজ শুক্রবার দিবাগত-রাত আনুমানিক রাত ১১ টা ৩০ মিনিটের সময়। আমি রাতের খাবার খাওয়া শেষ নিজ বাড়িতে বিছানায় যাবো ঠিক সেই মূহুর্তে। আমার বাড়িতে অপরিচিত ১০ থেকে ১২ জন লোক প্রবেশ করে। প্রবেশ করার সাথে সাথে আমার চোখ বেঁধে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। আমার বাড়ির লোকজন আমাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আমার আট বিঘা জমি বিক্রি করে চিকিৎসা হই।আমার অপরাধ ছিল জাতির জনকের ভালো বেসে তাঁর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দল করার কারনে। আমি আমার নাবালক সন্তানদের নিয়ে অর্থকষ্টের মধ্যেও আজও পর্যন্ত চিকিৎসা নিতে হয়। আমার সন্তানের জন্য পারিনি কিছুই করতে। পারিনি ভালো একটু খাবার বা কাপড় ক্রয় করে দিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ রইল আমাকে আর্থিক ভাবে কিছু সহায়তা প্রদান করে আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক অন্তত। আমি পারিনা কোন কাজ করতে। আমার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কারনে অনেক শিরা উপশিরা গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসা নিতে যাওয়ার মত আমার কোন অর্থ নেই।