গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর পাদুকা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার এক আসামির স্বজনের সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও ফাঁসের ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামানকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। তৌহিদুজ্জামান মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি এ হত্যা মামলার আসামি খলিলুর রহমান বাবুর ছেলে তুরাস তাকমির সজলের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের অডিও ফাঁসের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারও জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অডিও রেকর্ডে শোনা যায় অর্থ লেনদেনের কথোপকথন। আসামি খলিলুর রহমানের পুত্র সজল কথোপকথনের ওই অডিও রেকর্ড মিথ্যা দাবি করে বলেন, মামলার বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তহিদুজ্জামান এর সঙ্গে তার কখনোই মোবাইলে কিংবা সাক্ষাতে কথা হয়নি। তবে মামলা থেকে তার পিতা ও শ্বশুরকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে পিতা খলিলুর রহমানের পূর্ব পরিচিত তোতা ও তনু গত চার মাস আগে শহরের দাশ বেকারি মোড়ে ‘এ্যাপোলো ফার্মেসী’ নামক একটি ওষুধের দোকান থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি। এই অর্থ লেনদেন করার সত্যতা স্বীকার করেছেন তার চাচা ওষুধ ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া।
গত বছরের ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ী হাসান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানার বাড়িতে।
এ ঘটনায় মাসুদ রানা কে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। গত ১৬ জানুয়ারি ৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান।
এদিকে গণমাধ্যমে আসা খবরের বিষয়টি জানা আছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডসহ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অর্থ লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কারও সঙ্গে আমার কোন প্রকার অর্থ লেনদেন কিংবা মামলায় আসামির নাম বাদ দেয়া বা ধারা কম বেশী করে দেওয়ার কোন কথা হয়নি। মামলার চার্জশিট থেকে আসামির নাম বাদ দেয়ার তদবির না শোনায় পরিকল্পিতভাবে কেউ এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন।