হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অনৈতিক কাজের অভিযোগে দেবর-ভাবী কে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তারা এখনো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হুমায়ূন খানের জিম্মায় রয়েছেন। পুলিশ কে ঘটনাটি অবগত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ।
(১২ অক্টোম্বর) সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের পুত্র শাকিল(১৮) কে তারই চাচাতো ভাই ভিংরাজ মিয়ার স্ত্রীর ঘরে একা পেয়ে আটক করেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া কে জানালে তিনি তাদের কে আটক রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সেই মোতাবেক রাতে দেবর-ভাবীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন মুরুব্বির ও যুবকরা।
পরদিন সকালে তাদের কে পুনরায় নির্যাতন করা হয় এবং দুপুরে পুলিশ প্রশাসন কে না জানিয়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় ৩ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে চেয়ারম্যান মেস্বাররা তাদের শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।
আটক শাকিল প্রাক্তন মেম্বার আঃ নুর এর ভাতিজা বলে শিকল দিয়ে বেঁধে জেদ মিঠানোর জন্য এমন হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন আহমেদকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।